ভুটানের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিদের ডিএসই পরিদর্শন
Published: 26th, October 2025 GMT
ভুটানের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটানের (আরএসইবি) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। তিন দিনব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে গত ২১ অক্টোবর প্রতিনিধি দলটি ডিএসই পরিদর্শন করে।
রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটানের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- খানদু ওয়াংমো, দর্জি জঙ্গম, জ্যাংচুক ওয়াংদি এবং পেমা ইয়াংছেন।
আরো পড়ুন:
৯ সদস্যের নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন
নয় মাসে ঢাকা ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ২০.
ডিএসইর কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার নূর-ই হাফসার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিনিধিদলটি প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এ সফর শেষে রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অফ ভুটানের প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইসিটি ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম ভুটান প্রতিনিধিদলকে ডিএসই প্ল্যাটফর্ম ইকোসিস্টেম, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও সিস্টেম, আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল সাবমিশন ও ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন সিস্টেম, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিজ সলিউশন, ডিএসই টাওয়ার ডেটা সেন্টার ফ্যাসিলিটি, আইসিটি গর্ভান্যান্স ও অপারেশন স্ট্রাকচার, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ব্রোকার হোস্টেড ওএমএস, মার্কেট ডাটা সার্ভিস এবং ম্যাচিং ইঞ্জিন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডিএসইর প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামো, ট্রেডিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থার অটোমেশন, ডিএসইর বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা, বাজারের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
সফরকালে প্রতিনিধিদল বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন করে, যেখানে তাদের কার্যক্রম, ক্লায়েন্ট সেবা ও ট্রেডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি বাজার প্রেক্ষাপটে ব্রোকারেজ কার্যক্রমের বাস্তব প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে।
ভুটানের প্রতিনিধিদল জানায়, এই সফরটি আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত তথ্যবহুল, সমৃদ্ধ ও অভিজ্ঞতামূলক। এটি আমাদেরকে একটি আধুনিক স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালন কাঠামো সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা প্রদান করেছে। ডিএসইর বিভিন্ন বিভাগের উপস্থাপনা ছিল চিন্তাশীল ও জ্ঞানসমৃদ্ধ। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কার্যপ্রণালী, ট্রেডিং প্রক্রিয়া, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থা, বাজার নজরদারি কাঠামো এবং প্রযোজ্য নিয়ন্ত্রক ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা অর্জন করেছি।
প্রতিনিধিদল আরো উল্লেখ করেন, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এই বিনিময় উভয় প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে। রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অফ ভুটান ভবিষ্যতেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে আগ্রহী।
প্রতিনিধিদল ডিএসইর সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতাকে রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান লিমিটেডের উন্নয়নে কাজে লাগানোর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান ভুটানের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কারিগরি সহায়তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েল সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ অব ভুটান লিমিটেডের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী। আমরা বিশ্বাস করি, এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং উভয় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের পিয়ার ইকোনমি- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটান প্রযুক্তি ও বাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাজার কাঠামো ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মূলত ইক্যুইটি ভিত্তিক। তবে আমরা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের এসএমই ও এটিবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়বে, যা পুঁজিবাজারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/এনটি/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসই ড এসই ব যবস থ সহয গ ত ড এসইর ন কর ছ ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। পরে তা পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৬২টি কোম্পানির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৬টির।
এ দিন ডিএসইতে মোট ৪৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২.০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৫.৪৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//