টুপি পরা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত এক মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছেন অপর এক ছাত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

ইবিতে সাজিদ হত্যার তদন্ত নিয়ে সিআইডির বৈঠক, বিচার চেয়ে কফিন মিছিল

ঝিনাইদহে গৃহবধূকে কুপিয়ে মারলেন শ্বশুর

রবিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

নিহতের নাম মো.

নাজিম উদ্দিন (১৩)। তিনি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।  

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেন। ওই ঘটনায় নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন আবু ছায়েদ। রবিবার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে গোঙানির আওয়াজ শুনে কক্ষে থাকা অন্যরা ঘুম থেকে জেগে নাজিমকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। তারা আবু ছায়েদকে আটক করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি খোরশেদ আলম বলেন, “রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্রে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। মরদেহটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।”    

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সব ওষুধের দোকান বন্ধ

উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজের আশপাশের দোকানগুলো আমাদের ভাড়া নেওয়া। আমরা নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছি। অথচ, আমাদের অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ন্যায়সঙ্গত সমাধান চাই। 

তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে আসছি। তারপরও প্রতিকার না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সব ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন গেট নির্মাণের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ