মির্জাপুরে বাড়িতে ডেকে ‘চোর অপবাদ দিয়ে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
Published: 28th, November 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক যুবককে কৌশলে বাড়িতে ডেকে ‘চোর অপবাদ দিয়ে’ পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গ্রামনাহালি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম হাসমত উল্লাহ (৩০)। তিনি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টাঙ্গাইল শহরে আইএফআইসি ব্যাংকের বেবিস্ট্যান্ড উপশাখার একজন কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই হাসমত উল্লাহর ভাই রহমত উল্লাহ মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাশেদুল ইসলাম (৩৬) ও তাঁর চাচাতো ভাই ইয়ামিন ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার গ্রামনাহালি গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাশেদুল ইসলাম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সে সময় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে হাসমত উল্লাহর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি রাশেদুল দেশে ফিরে সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন। একপর্যায়ে তাঁর স্ত্রী হাসমত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা ছেড়ে দেন। কিন্তু হাসমত তাতে সায় দেননি। রাশেদুল ও তাঁর স্ত্রী পরিকল্পনা করে কৌশলে হাসমতকে তাঁদের বাড়িতে ডাকেন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে হাসমত ওই বাড়িতে গেলে রাশেদুল ও ইয়ামিন তাঁদের সহযোগীদের নিয়ে তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, পরকীয়ার ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ শুক্রবার টাঙ্গাইলের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জীবনবৃত্তান্তে শিক্ষা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পদত্যাগ করলেন রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পদত্যাগ করেছেন রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার ইওনুত মোস্তেনু বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ইউনুত জানিয়েছেন, তিনি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার কথা লিখেছেন, যেখানে তিনি কখনো পড়াশোনা করেননি। তিনি চান না যে, এই নিয়ে বিতর্ক তার দেশকে ‘বিভ্রান্ত’ করুক।
তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “আজ, আমি জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। রোমানিয়া ও ইউরোপ রাশিয়ার আক্রমণের মুখে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইউনুতের জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এরপরই ইউনুত চাপের মুখে পড়েন।
ওই দিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা চান।
তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, “২০১৬ সালে অনলাইনে পাওয়া একটি টেমপ্লেট ব্যবহার করে আমি দ্রুত যে সিভি তৈরি করেছিলাম, তাতে একটি ভুল আছে যা আমি স্বীকার করছি। এটি আমাকে বিব্রত করছে। আমি সেই সময় এই বিবরণগুলোতে খুব বেশি মনোযোগ দেইনি।”
ঢাকা/শাহেদ