বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা, আড়াই বছরের আদিল ডুবল পাশের ডোবায়
Published: 28th, November 2025 GMT
বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন মা রোজিনা আক্তার। এ সময় বাড়ির আঙিনায় খেলছিল তার আড়াই বছরের শিশুসন্তান আদিল মাহমুদ। মায়ের অগোচরে একপর্যায়ে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে যায় শিশুটি। কাজের ফাঁকে ছেলের খোঁজ করে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরে ডোবায় ভাসতে দেখেন শিশু আদিলকে। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আদিল মাহমুদ ওই গ্রামের রাশিদুজ্জামানের ছেলে।
খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘‘শিশুটি সবার অগোচরে ডোবায় পড়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি।’’
ঢাকা/ইবাদ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবারো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা
আবারো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সাথে বর্তমান যুদ্ধবিরতি কোনো ‘ঐতিহ্যবাহী’ যুদ্ধবিরতি নয় বরং প্রতিবেশী দেশটির মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হয়েছে কিনা তার উপর নির্ভর করে। শুক্রবার ডন অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান এবং আফগান তালেবানের মধ্যে সম্পর্ক ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানদের কাবুল দখলের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ে তাদের ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে স্থল যুদ্ধ এবং পাকিস্তানি বিমান হামলার ফলে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন লোক নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশের বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
এই সংঘর্ষের পর, তুরস্ক এবং কাতার মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসে। দোহায় প্রথম দফায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। দ্বিতীয় দফাতেও দোহায় একটি সাধারণ চুক্তি এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই শেষ হয়েছিল। তুরস্কে তৃতীয় দফা আলোচনা কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানি বিমান হামলার আফগান অভিযোগের পর পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটে। আফগান পক্ষ পাকিস্তানের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে হুমকি এবং নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তাহির আন্দ্রাবি বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বলতে দুটি যুদ্ধরত রাষ্ট্রের যুদ্ধ বা সংঘাতের পরে বাস্তবায়িত ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধবিরতি বোঝায় না। পাকিস্তান-আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতি থেকে বোঝা যায় যে, আফগান অর্থায়নে সন্ত্রাসী প্রক্সিদের দিয়ে পাকিস্তানে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হবে না। এই যুদ্ধবিরতির পরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সুতরাং, এই অর্থে ব্যাখ্যা করলে, যুদ্ধবিরতি বহাল নেই। কারণ যুদ্ধবিরতি ছিল টিটিপি, এফএকে এবং আফগান নাগরিকদের মাধ্যমে আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করার বিষয়ে।”
ঢাকা/শাহেদ