বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
Published: 27th, October 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুরে খালেদা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামীকে আটকের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহা পাড়া কালিতলা এলাকা থেকে ওই নারীর স্বামী চা বিক্রেতা মিলন হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
খুলনায় নারীকে গলা কেটে হত্যা, যুবক আটক
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলন প্রায়ই তার স্ত্রী খালেদাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখতেন। গত শনিবার রাতেও মিলন স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখেন। রবিবার রাতে খালেদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বমি করতে থাকেন। সোমবার ভোরে মিলন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক খালেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বাড়িতে এনে স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে দাফনের প্রস্তুতি নেন মিলন। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ এবং স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খালেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেছেন, সন্দেহভাজন হিসেবে মিলনকে আটক করা হয়েছে। পরে সে স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মারধর বা ঘরে আটকে রাখায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমাদের তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঢাকা/এনাম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীর আত্মমর্যাদাকে বৃদ্ধি করবে : রাজিব
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও মহিলা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রথম যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
তাঁরই ধারাবাহিকতায় দেশনায়ক তারেক রহমানও নারীর মর্যাদা ও নেতৃত্বের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কার কাঠামোর ৩১ দফা রূপরেখার ২৩নং দফায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন। বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। নারীরা যাতে কেবল ঘরে বসে না থাকে, সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিএনপি নারীদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ড ও কৃষক কার্ড দেবে, যা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দেবে। সেই ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে একজন নারী তার পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। যা নারীর আত্মমর্যাদাকে বৃদ্ধি করবে।
এসব কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য ও ব্যাংক লোন নিতে পারবে। স্বাস্থ্য কার্ড দিয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে। যোগ্যদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে নারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ বাদশা মাদবরের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মী আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আকবর আলী সুমন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর যুবদলের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল আমিন মাছুম, বক্তাবলী ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সলিমুল্লাহ প্রধান জুয়েল, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাসেম ঢালী, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি মহাসিন বেপারী, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি খোরশেদ গাজী, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি শফর আলী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়েরসহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।