সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে সাগর ইসলাম হৃদয় (৩০) ও অনিক (২৫) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভোররাতে জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে টহল ডিউটি চলাকালীন সময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডে দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে অস্ত্রসহ ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাগর ইসলাম হৃদয় নাটোর জেলার সদর থানার সুলতানপুর উত্তর পাড়া এলাকার সেন্টু রহমানের ছেলে এবং অনিক একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি ও জালকুড়ি সিনেমা হল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল।

আটকের পর তাদের তল্লাশি করে একটি স্টিল বডির খেলনা পিস্তল, একটি কালো রঙের রেজিস্ট্রেশনবিহীন সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল এবং নগদ ১,২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আটককৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা এই খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেছিল।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাগর ও অনিকের বিরুদ্ধে তাদের নিজ এলাকা নাটোর সদর থানায় পূর্বেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, এলাকায় এ ধরনের ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে পুলিশের নিয়মিত অভিযান এবং সার্বক্ষণিক চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

জিমখানা তরুণ সংঘকে হারিয়ে আরএফসি দল বিজয়ী

জিমখানা তরুণ সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো প্রিমিয়াম লীগ সিজন-১ ফুটবল টুর্নামেন্ট। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে জিমখানা আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়ামে এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলায় জিমখানা তরুণ সংঘের সাথে আরএফসি দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। দুই দলই বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করলে গোল-শূন্য ভাবে শেষ হয় নির্ধারিত সময়। পড়ে ট্রাইবেকারে খেলা গড়ালে ৩-৪ গোলের ব্যবধানে বিজয়ী হয় আরএফসি দল।

এদিকে এ ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আবু সালেহ্ আহমেদ সনেট।

এছাড়া উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: সাব্বির আহমেদ শহিদ, মহানগর তারেক জিয়া পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফয়সাল আহমেদ হৃদয়, ডাইলপট্টি লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: আব্দুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: আলী হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: পাপ্পু, সাইফুল, সজীব, রাজীব, নয়ন ও সানী উপস্থিত ছিলেন।

তারা সবাই জিমখানা তরুণ সংঘ ও আরএফসি দলের মধ্যকার ফাইনাল খেলা পুরোদমে উপভোগ করেন এবং খেলোয়ারদের তুমুল প্রশংসা করেন।

প্রধান অতিথি মো: আবু সালেহ্ আহমেদ সনেট তার বক্তব্যে বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ। আজকের যুবসমাজ হবে আগামী বাংলাদেশের কান্ডারি। সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে যুব-সমাজকে প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষাদীক্ষায় খেলাধুলায় হতে হবে সেরা। একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে।

তাই আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, আপনারা আরও বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করবেন। যদি কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হয়, বলবেন। আমরা আপনাদের তথা খেলাধুলার পক্ষে আছি এবং থাকবো।

উদ্বোধক পারভেজ মল্লিক বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে একজন মানুষ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করে। এসব কারণে সকলে খেলাধুলায় মনোযোগী হতে হবে।

বক্তব্য শেষে রানার্স আপ ও বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তোলে দেন অতিথিবৃন্দরা। এছাড়া খেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি মো: আবু সালেহ্ আহমেদ সনেটসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দদের সম্মাননা ক্রেষ্টা প্রদান করা হয়।

খেলার আয়োজনে ছিলেন, মো: শান্ত, মো: মারুফ, মো: ইয়ামিন, আব্দুল্লাহ্, রাতুল প্রমূখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ