হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মান কমছে ১০ ডিগ্রির
Published: 28th, October 2025 GMT
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কিছু ঐতিহ্যবাহী ডিগ্রি দ্রুত বাজারে তাদের মূল্য হারাচ্ছে। এখন আর শুধু ডিগ্রি নয়—চাকরিদাতারা চাইছে কর্মীর নির্দিষ্ট দক্ষতা ও অভিযোজনক্ষমতা। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে টিকে থাকতে অনেক শিক্ষার্থীকেই পড়াশোনার ধরন বদলে ফেলতে হবে।
কমছে যেসব ডিগ্রির বাজারমূল্যডেভিড জে ডেমিং ও কাদেম নোরে–এর ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রযুক্তিনির্ভর কিছু ডিগ্রির আয় বাড়লেও কর্মজীবনের সঙ্গে সঙ্গে সেই বাড়তি সুবিধা দ্রুত কমে যায়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে দক্ষতার অপ্রচলন খুব দ্রুত ঘটে।
এ ছাড়া হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ২০২৫ সালের শুরুর দিকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমনকি এমবিএর মতো মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রিধারীরাও এখন আগের মতো দ্রুত শীর্ষ চাকরি পাচ্ছেন না। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ক্ল্যাসিক ডিগ্রির বাজারমূল্য ধীরে ধীরে কমছে।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান শাখার জনপ্রিয়তাও কমছে বলে জানিয়েছে দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসন। শিক্ষার্থী ও নিয়োগদাতারা এখন স্পষ্ট ক্যারিয়ারপথ ও প্রযুক্তিনির্ভর বিষয়গুলোর দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫হার্ভার্ডের বিশ্লেষণে বাজারমূল্য হারানো ১০ ডিগ্রি হলো—১.
২. কম্পিউটার সায়েন্স—শুরুতে আয় বেশি হলেও দ্রুত দক্ষতা অপ্রচলিত হয়ে পড়ছে।
৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং—অটোমেশন ও অফশোর উৎপাদনের কারণে চাকরির সুযোগ কমছে।
৪. অ্যাকাউন্টিং—অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান কমিয়ে দিচ্ছে।
৫. বায়োকেমিস্ট্রি—খুব সীমিত চাকরির ক্ষেত্র, একাডেমিক–নির্ভরতা বেশি।
৬. সাইকোলজি (স্নাতক)—উচ্চতর ডিগ্রি ছাড়া সরাসরি চাকরির সুযোগ কম।
৭. ইংরেজি ও হিউম্যানিটিজ—কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তায় ভর্তি কমছে।
৮. সোশিওলজি ও সামাজিক বিজ্ঞান—কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সরাসরি মিল কম।
৯. ইতিহাস—মাঝারি ক্যারিয়ার পর্যায়ে আয়ের হার কমে যায়।
১০. দর্শন—দার্শনিক চিন্তা মূল্যবান হলেও চাকরির বাজারে সরাসরি প্রয়োগ সীমিত।
আরও পড়ুনইউরোপের সেরা ১০ বৃত্তি ও ফেলোশিপের খোঁজ২২ অক্টোবর ২০২৫কী পড়লে বাড়বে চাকরির সুযোগহার্ভার্ডের শ্রমবাজার ও ভবিষ্যৎ শিক্ষাপ্রবণতা বিশ্লেষণ বলছে, একক কোনো ডিগ্রির ওপর নির্ভর না করে বহুমাত্রিক দক্ষতা তৈরি করতে হবে নিজের মধ্যে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে সামাজিক বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা যুক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি।
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্ষেত্রগুলো– ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস
– হেলথ সায়েন্স ও অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনস
– এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ও সাসটেইনেবিলিটি
– ডিজিটাল মার্কেটিং ও মিডিয়া
– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং
– প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা শিক্ষা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মান কমছে ১০ ডিগ্রির
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কিছু ঐতিহ্যবাহী ডিগ্রি দ্রুত বাজারে তাদের মূল্য হারাচ্ছে। এখন আর শুধু ডিগ্রি নয়—চাকরিদাতারা চাইছে কর্মীর নির্দিষ্ট দক্ষতা ও অভিযোজনক্ষমতা। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে টিকে থাকতে অনেক শিক্ষার্থীকেই পড়াশোনার ধরন বদলে ফেলতে হবে।
কমছে যেসব ডিগ্রির বাজারমূল্যডেভিড জে ডেমিং ও কাদেম নোরে–এর ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রযুক্তিনির্ভর কিছু ডিগ্রির আয় বাড়লেও কর্মজীবনের সঙ্গে সঙ্গে সেই বাড়তি সুবিধা দ্রুত কমে যায়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে দক্ষতার অপ্রচলন খুব দ্রুত ঘটে।
এ ছাড়া হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ২০২৫ সালের শুরুর দিকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমনকি এমবিএর মতো মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রিধারীরাও এখন আগের মতো দ্রুত শীর্ষ চাকরি পাচ্ছেন না। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ক্ল্যাসিক ডিগ্রির বাজারমূল্য ধীরে ধীরে কমছে।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান শাখার জনপ্রিয়তাও কমছে বলে জানিয়েছে দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসন। শিক্ষার্থী ও নিয়োগদাতারা এখন স্পষ্ট ক্যারিয়ারপথ ও প্রযুক্তিনির্ভর বিষয়গুলোর দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫হার্ভার্ডের বিশ্লেষণে বাজারমূল্য হারানো ১০ ডিগ্রি হলো—১. জেনারেল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএসহ)—বাজারে অতিসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট ও নিয়োগদাতাদের চাহিদার পরিবর্তনে আয় কমছে।
২. কম্পিউটার সায়েন্স—শুরুতে আয় বেশি হলেও দ্রুত দক্ষতা অপ্রচলিত হয়ে পড়ছে।
৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং—অটোমেশন ও অফশোর উৎপাদনের কারণে চাকরির সুযোগ কমছে।
৪. অ্যাকাউন্টিং—অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান কমিয়ে দিচ্ছে।
৫. বায়োকেমিস্ট্রি—খুব সীমিত চাকরির ক্ষেত্র, একাডেমিক–নির্ভরতা বেশি।
৬. সাইকোলজি (স্নাতক)—উচ্চতর ডিগ্রি ছাড়া সরাসরি চাকরির সুযোগ কম।
৭. ইংরেজি ও হিউম্যানিটিজ—কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তায় ভর্তি কমছে।
৮. সোশিওলজি ও সামাজিক বিজ্ঞান—কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সরাসরি মিল কম।
৯. ইতিহাস—মাঝারি ক্যারিয়ার পর্যায়ে আয়ের হার কমে যায়।
১০. দর্শন—দার্শনিক চিন্তা মূল্যবান হলেও চাকরির বাজারে সরাসরি প্রয়োগ সীমিত।
আরও পড়ুনইউরোপের সেরা ১০ বৃত্তি ও ফেলোশিপের খোঁজ২২ অক্টোবর ২০২৫কী পড়লে বাড়বে চাকরির সুযোগহার্ভার্ডের শ্রমবাজার ও ভবিষ্যৎ শিক্ষাপ্রবণতা বিশ্লেষণ বলছে, একক কোনো ডিগ্রির ওপর নির্ভর না করে বহুমাত্রিক দক্ষতা তৈরি করতে হবে নিজের মধ্যে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে সামাজিক বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা যুক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি।
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্ষেত্রগুলো– ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস
– হেলথ সায়েন্স ও অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনস
– এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ও সাসটেইনেবিলিটি
– ডিজিটাল মার্কেটিং ও মিডিয়া
– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং
– প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা শিক্ষা