৯১ বছর বয়সেও দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি
Published: 16th, November 2025 GMT
যৌবনে কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করবেন। শেষ বয়সে সেই অর্থে শান্তিতে দিন কাটাবেন। অধিকাংশ মানুষ জীবনকে এভাবে দেখতে ভালোবাসেন; কিন্তু তা সব সময় হয়ে ওঠে না। সিঙ্গাপুরের ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের জীবনেও সেই পরিকল্পিত জীবন জোটেনি। এই প্রবীণ বয়সেও তিনি দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে কাজ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্লগার লেইংয়ের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সিঙ্গাপুরের একটি শপিং মলের শৌচাগারে কাজ করছেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। ব্লগার জানান, ‘খুব বয়স্ক একজন মানুষকে এত খেটে কাজ করতে দেখে আমি তাঁর দুপুরের খাবারের জন্য কিছু টাকা দিলাম।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, লেইং ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কেমন আছেন, জানতে চাইলে বৃদ্ধ শান্ত স্বরে জানান, তিনি ভালো আছেন। তাঁর বয়স ৯১ বছর শুনে বিস্মিত হন লেইং। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘অসম্ভব! আপনি এখনো কাজ করছেন? ইউ আর দ্য ম্যান!’ এই বৃদ্ধের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
কাজের সময়সূচি জানতে চাইলে বৃদ্ধ জানান, ‘কাজ শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। ১২ ঘণ্টার পুরোটা সময় তিনি দাঁড়িয়ে কাজ করেন।’ কীভাবে এত সুস্থ থাকেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ খাবার খাই।’ ব্যায়াম করেন কি না, জানতে চাইলে সাদামাটাভাবে বলেন, ‘কখনো ব্যায়াম করিনি।’
ভিডিওটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা আর মাধবন। ভাইরাল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘ভিডিওটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।’ নেট ব্যবহারকারীদের অনেকে বৃদ্ধের অধ্যবসায় এবং লেইংয়ের সহমর্মিতার প্রশংসা করছেন।
একজন মন্তব্য করেন, ‘এটা দেখে চোখে পানি এসে গেল। কী অসাধারণ মানুষ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটাই তাঁর সুস্থ থাকার রহস্য—সক্রিয় থাকা, মানুষের সঙ্গে মেশা। সুখই আসল ব্যায়াম।’
সিঙ্গাপুরে শপিং মলের শৌচাগারের দেখভালের দায়িত্বে সাধারণত বয়স্ক কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে ৯১ বছর বয়সে দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করা রীতিমতো অবাক করার মতো। তিনি সিঙ্গাপুরের কোন শপিং মলে কাজ করেন বা তাঁর আয় কত ইত্যাদি জানা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ কর ন ৯১ বছর র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার ব্যাপক হামলা
রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এর ফলে রাজধানী কিয়েভের অনেক জেলায় আগুন লেগেছে এবং ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার ভোরে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে রাজধানীর মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, জরুরি কর্মীরা একাধিক হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
শহরে ধারাবাহিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন পুরুষের অবস্থা গুরুতর এবং একজন গর্ভবতী মহিলা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে হামলা অব্যাহত রয়েছে, বিমান হামলার সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে এবং বাসিন্দারা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাইরে ধ্বংসস্তূপে ঢাকা রাস্তায় জড়ো হচ্ছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, “রাশিয়ানরা আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত করছে। প্রায় প্রতিটি জেলায় বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই মোতায়েন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি পাড়ায় জরুরি কর্মীদের পাঠানো হয়েছে।
ক্লিটসকো জানান, কিয়েভের হিটিং সিস্টেমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একটি জেলায় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তিনি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহে সম্ভাব্য ব্যাঘাতের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
ডারনিটস্কি জেলায় ধ্বংসাবশেষ একটি আবাসিক ভবনের উঠানে এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পড়ে। ভেঙে পড়া টুকরোর ধাক্কায় একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ঢাকা/শাহেদ