ইসির সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের দুপক্ষে তর্ক, একাংশকে বের হয়ে যেতে বলা হলো
Published: 16th, November 2025 GMT
ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনীর অনুসারীরা আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে যোগ দিতে যান। কিন্তু সংলাপ শুরুর আগে দলটির বর্তমান অংশের লোকজন আপত্তি তোলেন। এ সময় তাঁদের বের হয়ে যেতে বলা হয়।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসিতে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে। এতে সকালে ৬টি দল অংশ নেয়।
সংলাপ শুরু হওয়ার আগে ইসলামী ঐক্যজোটের বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির অংশের প্রতিনিধিরা বসার জায়গা পাননি। এ সময় তাঁরা ইসির উদ্দেশে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর যাঁরা গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা এখানে বসে আছেন। এ সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানতে চান কাদের কাছে লিখিত দাওয়াতপত্রের হার্ডকপি রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছে থাকা লিখিত দাওয়াতপত্র দেখান। অন্যদিকে আমিনীর অনুসারীরা হার্ডকপি দেখাতে পারেননি। এ সময় সচিব তাঁদের সম্মেলনকক্ষের বাইরে যেতে বলেন।
বের হয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদলের একজন মাওলানা আলতাফ হোসেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দলের নিবন্ধন তাঁদের নামে, দাওয়াত তাঁদেরকেই দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাকমেল করে তাঁদের দাওয়াতপত্র অপর পক্ষ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর হাসানাত আমিনী দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর মাওলানা আবদুল কাদিরকে চেয়ারম্যান ও মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে মহাসচিব করে ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেকগুলো বড় কাজ তাঁরা করেছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ ইসির বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন।
সিইসি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনে অনেক আলোচনা হয়েছে। সামনে যাতে ইসি সুন্দর একটি নির্বাচন করতে পারে সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, তারা সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করে, তাই দলগুলোর পরামর্শ প্রয়োজন।
আচরণবিধি যদি সবাই পালন করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে জানান সিইসি। এই আচরণবিধি প্রচারের ব্যবস্থা দলগুলোও করতে পারে বলে জানান তিনি।
সংলাপে সকালে অংশ নেয় গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের দুপক্ষে তর্ক, একাংশকে বের হয়ে যেতে বলা হলো
ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনীর অনুসারীরা আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে যোগ দিতে যান। কিন্তু সংলাপ শুরুর আগে দলটির বর্তমান অংশের লোকজন আপত্তি তোলেন। এ সময় তাঁদের বের হয়ে যেতে বলা হয়।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসিতে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে। এতে সকালে ৬টি দল অংশ নেয়।
সংলাপ শুরু হওয়ার আগে ইসলামী ঐক্যজোটের বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির অংশের প্রতিনিধিরা বসার জায়গা পাননি। এ সময় তাঁরা ইসির উদ্দেশে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর যাঁরা গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা এখানে বসে আছেন। এ সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানতে চান কাদের কাছে লিখিত দাওয়াতপত্রের হার্ডকপি রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছে থাকা লিখিত দাওয়াতপত্র দেখান। অন্যদিকে আমিনীর অনুসারীরা হার্ডকপি দেখাতে পারেননি। এ সময় সচিব তাঁদের সম্মেলনকক্ষের বাইরে যেতে বলেন।
বের হয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদলের একজন মাওলানা আলতাফ হোসেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দলের নিবন্ধন তাঁদের নামে, দাওয়াত তাঁদেরকেই দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাকমেল করে তাঁদের দাওয়াতপত্র অপর পক্ষ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর হাসানাত আমিনী দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর মাওলানা আবদুল কাদিরকে চেয়ারম্যান ও মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে মহাসচিব করে ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেকগুলো বড় কাজ তাঁরা করেছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ ইসির বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন।
সিইসি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনে অনেক আলোচনা হয়েছে। সামনে যাতে ইসি সুন্দর একটি নির্বাচন করতে পারে সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, তারা সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করে, তাই দলগুলোর পরামর্শ প্রয়োজন।
আচরণবিধি যদি সবাই পালন করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে জানান সিইসি। এই আচরণবিধি প্রচারের ব্যবস্থা দলগুলোও করতে পারে বলে জানান তিনি।
সংলাপে সকালে অংশ নেয় গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।