ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। স্মৃতিস্তম্ভটির অবস্থান ফেনী মডেল থানা থেকে মাত্র দেড় শ গজ দূরে। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরা এক যুবক কেরোসিন ঢেলে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেন। তাঁর পাশেই মাস্ক পরা আরও কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর মধ্যে একজন আগুন দেওয়ার ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন। আগুন লাগার পরপরই তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, স্তম্ভটি লোহার তৈরি হওয়ায় আগুনে এর নিচের কিছু অংশ পুড়ে কালো রং ধারণ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বেলা দেড়টা পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়াকে আমরা পরিকল্পিত নাশকতা হিসেবে দেখছি। এর প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৪টায় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’

আগুনে স্মৃতি স্তম্ভের নিচের অংশ কালো রং ধারণ করেছে। আজ সকালে ফেনীতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ত স তম ভ আগ ন দ

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৪ নেতা-কর্মী আটক

কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৪৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে কুমিল্লা নগর থেকে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক করা হয়েছে ২৯ জনকে।

আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে নগরের টমছমব্রিজ, ঝাউতলা ও বাদুরতলা এলাকা থেকে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ২৯ জনকে আটক করা হয়। এর আগে শনিবার রাতভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৫ জনকে আটক করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, জুলাই অভ্যুত্থান দমাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে তৎপরতার চেষ্টা চালাচ্ছিল আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিদেশে পলাতক কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তাঁর মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনার ছবি-সংবলিত ব্যানার হাতে নিয়ে ভোরে টমছমব্রিজ এলাকায় ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার সকাল ৬টার দিকে টমছমব্রিজ এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে টমছমব্রিজ, ঝাউতলা ও বাদুরতলা এলাকা থেকে ২৯ জনকে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ব্যানার ও লাঠি জব্দ করা হয়।

মহিনুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লায় অরাজকতা সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নের উদ্দেশ্যে সাবেক এমপি বাহার ও তাঁর মেয়ে সূচনার টাকায় নগরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি নিয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ