বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Published: 16th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এবার কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা।
আজ রোববার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালিবাড়িয়া থেকে বহলবাড়িয়া এলাকা পর্যন্ত শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা মানববন্ধন করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কুষ্টিয়া-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরী। এর পর থেকেই দুই উপজেলায় শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে মিরপুর ও ভেড়ামারার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন শুরু করেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন। অবশ্য অবরোধ শুরুর ২০ মিনিট পর সড়কের একপাশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা বলেন, তাঁরা সবাই ধানের শীষের রাজনীতি করেন। কিন্তু কুষ্টিয়া-২ আসনে যাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা-কর্মীর সম্পর্ক নেই। তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তাঁকে দিয়ে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিক্ষোভ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা। মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে ধানের শীষ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে শহীদুল ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। দলীয় মনোনয়ন তাঁকেই দিতে হবে। তা না হলে তৃণমূল বিএনপি কাউকে মেনে নেবে না। দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই আসনে যাঁকে (রাগীব রউফ চৌধুরী) সম্ভাব্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি সারা জীবন ঢাকায় থাকেন। মিরপুর-ভেড়ামারায় তাঁকে বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এমনকি বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে এলাকার কোথাও দেখা যায়নি।’
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহিন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রশিদ, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম (আলম), সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড় সদর ও পৌর যুবদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি
পঞ্চগড় সদর উপজেলা ও পৌর যুবদলের পূর্বের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে সম্প্রতি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে এই কমিটি বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে আগের কমিটির নেতারা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) পঞ্চগড় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে এ দাবি তোলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. বশির, পৌর যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ময়নুল ইসলাম ও সদস্য সচিব নূর ইসলাম দিপু।
আরো পড়ুন:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি
পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
তাদের অভিযোগ ত্যাগী, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বিধিবহির্ভূতভাবে তথাকথিত একতরফা ও পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চগড়-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।
তারা বলেন, মূলত উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি জেলা কমিটির অনুমোদন নিয়ে প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে পাঠায়। কিন্তু নতুন কমিটির ব্যাপারে জেলার নেতারা কিছু জানে না। এখানে ত্যাগী ও বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেওয়া এবং নির্যাতিতদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তারা কখনো যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। তারা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে ছিল। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ পেতে অন্তত তিন বছর যুবদলের রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু তারা কেউ যুবদলের রাজনীতি করেনি।
বক্তব্যে পঞ্চগড় পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব নুর ইসলাম দিপু বলেন, ‘‘নতুন কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি কখনোই যুবদলে ছিলেন না। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি বিলুপ্ত না করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে ত্যাগী নেতারা।’’
সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. বশির বলেন, ‘‘উপজেলার নতুন কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি কখনো উপজেলা যুবদলে ছিলেন না। তার বাড়ি পৌরশহরে। পৌরসভায় বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও বিধিবহির্ভুতভাবে উপজেলা কমিটিতে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে।’’
পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল বলেন, ‘‘নতুন কমিটির বিষয়ে আমরাও জানতাম না। হঠাৎ করে জানতে পেরেছি কাগজের মাধ্যমে। কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেননি।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল