রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 16th, November 2025 GMT
রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ‘অবাস্তব ও বিকৃত’ তথ্য ব্যবহার করে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্তে এ ক্ষতি হয়েছে।
আজ রোববার দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো.
মামলার এজাহারে প্রথমে নাম রয়েছে রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ মাহবুব চৌধুরী ও পরিচালক মৃণাল কান্তি বণিকের। আরও আছেন প্রকল্প পরিচালক আবদিল মতিন চৌধুরী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. হারুন-অর-রশীদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে ‘রোলিং স্টক অপারেশনস ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এর অধীনে কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মাল পরিবহনের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে রেলওয়ে। প্রকল্প প্রস্তাবে ৭৫টি মিটার গেজ লাগেজ ভ্যান কেনায় ব্যয় ধরা হয় ১৭৬ কোটি টাকা এবং ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান কেনায় ১৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয় দেখিয়ে প্রকল্পটিকে ‘অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক’ও বলা হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মুনাফা দেখানো হলেও ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে প্রকৃত আয় হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই আয়-ব্যয়ের হিসাব ‘অবাস্তব ও বিকৃত’ তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। এর ফলে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, বাজার সমীক্ষা, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রকৃত চাহিদা যাচাই, স্টেশন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা মূল্যায়ন—এসব মৌলিক কাজ যথাযথভাবে করা হয়নি। বরং প্রকৃত প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ‘অবাস্তব ও বিকৃত’ তথ্য ব্যবহার করে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্তে এ ক্ষতি হয়েছে।
আজ রোববার দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান সংস্থার ঢাকা জেলা কার্যালয়-১–এ মামলাটি করেন। পরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন, আর্থিক অনিয়ম ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি করেছেন।
মামলার এজাহারে প্রথমে নাম রয়েছে রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ মাহবুব চৌধুরী ও পরিচালক মৃণাল কান্তি বণিকের। আরও আছেন প্রকল্প পরিচালক আবদিল মতিন চৌধুরী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. হারুন-অর-রশীদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে ‘রোলিং স্টক অপারেশনস ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এর অধীনে কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মাল পরিবহনের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে রেলওয়ে। প্রকল্প প্রস্তাবে ৭৫টি মিটার গেজ লাগেজ ভ্যান কেনায় ব্যয় ধরা হয় ১৭৬ কোটি টাকা এবং ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান কেনায় ১৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয় দেখিয়ে প্রকল্পটিকে ‘অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক’ও বলা হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মুনাফা দেখানো হলেও ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে প্রকৃত আয় হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই আয়-ব্যয়ের হিসাব ‘অবাস্তব ও বিকৃত’ তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। এর ফলে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রের ৩৫৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, বাজার সমীক্ষা, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রকৃত চাহিদা যাচাই, স্টেশন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা মূল্যায়ন—এসব মৌলিক কাজ যথাযথভাবে করা হয়নি। বরং প্রকৃত প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ লাগেজ ভ্যান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।