সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের শাসনব্যবস্থার পতনের পরও কাশিপুর এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।

তাদের দাবি, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ এবং স্থানীয় আরেক প্রভাবশালী নেতা জামান এখনও এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এনিয়ে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোলাইল ও সাত নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই তিনজনের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কাজ করা যেত না।

ভারী ঘর নির্মাণ, জমি ক্রয়–বিক্রয় থেকে শুরু করে গার্মেন্টস ওয়েস্টেজ ব্যবসা সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলেন তারা। এছাড়া মাদক ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রণও ছিলো সদস্য জামানের হাতে এমন অভিযোগ করছে একাধিক সূত্র।

অভিযোগ রয়েছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের নাম ব্যবহার করে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা মানুষকে তটস্থ করে রাখতেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে যুবলীগ কর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি সূত্রের।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই ত্রয়ী যেকোনো সময় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি অথবা ধ্বংসাত্মক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন।

তারা অভিযোগ করেন নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম যেহেতু বন্ধ রয়েছে, তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শামীম, হারুন ও জামানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঠেকাতে আগামীকাল সোমবার মাঠে থাকবে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের নেতা-কর্মীরা।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা জানিয়েছেন।

১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ জানানো হয়। শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে, সে জন্য আট দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতের কর্মসূচিতেও মাঠে ছিলাম, এবারও এই ফ্যাসিবাদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে নাশকতার কোনো সুযোগ এ জাতি দেবে না। আগের দিনও দেয়নি। এটা (নাশকতা) কোনো স্থানই পাবে না, ইনশা আল্লাহ। তারা এটার সুযোগ পাবে না। আমরা আট দল মাঠে থাকব।’

এদিকে বিএনপি সরাসরি মাঠে থাকার ঘোষণা না দিলেও দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ঢাকায় বিএনপির নির্বাচনী প্রার্থীরা বাড়তি গণসংযোগ করে মাঠে থাকবে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) জানিয়েছিলেন, ১৩ নভেম্বর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হবে। গত সপ্তাহে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অনলাইনে ১৩ নভেম্বর ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর পর থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুরু হয়। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে সেদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ