পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) নতুন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কে.

এইচ. বি. সিকিউরিটিজের অনিয়ম তদন্তে বিএসইসি

দুলামিয়া কটনের এজিএম স্থগিত

এর আগে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ. চৌধুরী হলে ডিবিএ’র ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পন্ন হয়েছে। এজিএমে ডিবিএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্য নতুন পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে পর্ষদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।

নতুন পর্ষদ ২০২৬–২০২৭ মেয়াদে আগামী দুই বছর ডিবিএর নেতৃত্ব প্রদান করবে। নবগঠিত পর্ষদে—দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড-এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. মনিরুজ্জামান। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাফিজ-আল-তারিক।

এছাড়া পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন- এম রাফিউজ্জামান বোখারী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড; ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেড; মো. নাদিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন ট্রেডিং লিমিটেড; আহমেদ কবির মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেড; আর. ওয়াই. শমসের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেড; আমিনুল ইসলাম, সিইও ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড; আলহাজ্ব নাহিদ আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড; নাঈম মো. কাইয়ুম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেড; মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড; ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেড; খন্দকার শফিকুর রহিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও শরীফ আতাউর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ আর সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

নতুন পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম ডিবিএর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ডিবিএর পাশে থেকে বাজার উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

সাইফুল বাজার সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নতুন পর্ষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সকলের সাথে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ য় ত ব গ রহণ কর ন স ক উর ট জ ল ম ট ড ল ইসল ম চ লক এ

এছাড়াও পড়ুন:

বার্ষিক পরীক্ষায় স্কুলে ‘শাটডাউন’: আলোচনা করে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি বাড়বে

তিন দফা দাবি আদায়ে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দুই অংশ মিলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর ফলে আজ চতুর্থ দিনের মতো দেশের অনেক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা নিজেরাই ফটকে তালা লাগিয়েছেন। কোথাও কোথাও পরীক্ষা হলেও তা অনেকটা ‘আধামাধা’ভাবে হচ্ছে; কিন্তু এভাবে পরীক্ষা হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা বড় রকমের সমস্যায় পড়ল।

এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে উল্টো শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরি আইন এবং আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিচ্ছে। এরই মধ্যে একাধিক শিক্ষক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ রকম হুমকিতে শিক্ষকেরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।

তবে বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে কর্মবিরতিতে সন্তানের পড়াশোনার ক্ষতিতে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বার্ষিক পরীক্ষার এ সময়ে এমন পরিস্থিতিতে আসল ক্ষতিটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ—প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উচিত দ্রুত শিক্ষকদের সঙ্গে বসে তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা। আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান আসতে পারে। না হলে কার্যত শিক্ষার্থীদের ক্ষতি আরও বাড়বে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল আপাতত ১১তম গ্রেড দেওয়া, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতার নিরসন এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দেওয়া। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে আছেন (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা)।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোথাও তালা, কোথাও পরীক্ষা১৮ ঘণ্টা আগে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকেরা পাঠদান করেন। সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।

গত ২৭ নভেম্বর থেকে তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’। গত সোমবার তারা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও শুরু করে। এই পরিষদ গতকাল বুধবার থেকে বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছে।
প্রায় একই দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেছিল।

ঐক্য পরিষদও আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যালয়ে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি শুরু করেছে। দুই পরিষদের নেতারা সভা করে এখন যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’–এর একজন আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন জানান, আজ সকালে নিজের নোয়াখালী সদর উপজেলায় কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেটে তালা লাগাতে দেখা যায়। এই শিক্ষক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশের সরকারি বিদ্যালয়েই তাঁদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে।

আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় কয়েকজন অভিভাবক বসা। শিক্ষকদের বসার কক্ষে সহকারী শিক্ষকেরা বসা। একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষকেরা পরীক্ষা নিচ্ছেন না। তবে প্রধান শিক্ষক নিজে এবং সাবেক একজন শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্ষা নিচ্ছেন। সেখান থেকে দোতলায় একটি কক্ষে গিয়ে দেখা গেল শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই সময়ে কক্ষে কোনো শিক্ষক দেখা যায়নি।

প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বেগম জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা হচ্ছে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার থানা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফাঁকা শ্রেণিকক্ষ। ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ