ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে উঠেছে। জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন। তাঁরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার–ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও উপজেলাগুলো। ফলে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে শিল্প–অধ্যুষিত এ জেলায়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (সদর) আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার অন্য চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলীয় প্রার্থী নিয়ে দুটি আসনে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে, যা দলীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। তবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও সব কটি আসনে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছে। একাধিক আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বেশ কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ)

রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীর লাগোয়া আসনটিতে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুবার, বিএনপি একবার এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। এবার জাতীয় পার্টি এখনো মাঠে নেই। আওয়ামী লীগ বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল। বিএনপি ও জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীরা এলাকায় তৎপর।

বিএনপি এখানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়াকে (দিপু ভুঁইয়া) প্রার্থী করেছে। তিনি এবার প্রথম সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে এখানে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান। তিনি এবার মনোনয়ন পাননি।

জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন। তাঁরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার–ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও উপজেলাগুলো।

গণসংযোগ শুরুর পর থেকে মানুষের সাড়া পাচ্ছেন উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে কে এমপি-মন্ত্রী হলো সেট বড় বিষয় নয়, রূপগঞ্জবাসীর জন্য উন্নয়ন ও দলের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’

জামায়াত এখানে প্রার্থী করেছে আনোয়ার হোসেন মোল্লাকে। রূপগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের মজলিশে শুরার এই সদস্য এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সাবেক আহ্বায়ক নীরব রায়হান ও যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাইফুল ইসলাম এখানে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (সদর) আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার অন্য চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলীয় প্রার্থী নিয়ে দুটি আসনে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে, যা দলীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার)

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। দলের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক মঞ্চে সভা–সমাবেশ করছেন অপর তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার অনুসারীরা। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

অবশ্য নজরুল ইসলাম মনে করেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কারও যাওয়ার সুযোগ নেই।

মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুনাম ও জনপ্রিয়তা যাঁর আছে, তাঁকে প্রার্থী করা হলে
জনগণ আনন্দ উৎসব নিয়ে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

এ আসনে জামায়াত প্রার্থী করেছে জেলার কর্মপরিষদ সদস্য ইলিয়াছ মোল্লাকে। তিনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি মো.

হাবিব উল্লাহও মাঠে তৎপর।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ)

আসনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম (মান্নান) মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এই তিন সদস্যসহ ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশী এক হয়ে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রে চিঠি, এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করে আসছেন।

তবে আজহারুল ইসলামের ভাষ্য, ‘আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা মাঠে ছিলেন না, তাঁদের নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি জনগণের হৃদয়ে আছি, জনগণের এমপি হতে চাই।’

সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, ‘দল এখনো কাউকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়নি। আমরা বিতর্কমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবে—এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের কাছে দাবি জানিয়েছি।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া এখানে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এনসিপি থেকে দলটির যুবসংগঠন যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সাবেক সদস্যসচিব জাবেদ আলমের নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও সব কটি আসনে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (সদর উপজেলা)

সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। শিল্প ও শ্রমিক–অধ্যুষিত এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ্ আলমের পাশাপাশি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এই আসনেও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

২০০৮ ও ২০১৮ সালে এখানে প্রথমে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোহাম্মদ শাহ্ আলম। তবে ২০১৮ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমীকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। এবারও বিএনপি আসনটিতে জোটের প্রার্থীকে ছাড় দিতে পারে বলে আলোচনা আছে।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, ‘গত দুটি নির্বাচনে দলের নির্দেশে জোটের জন্য আসনটি ছেড়ে দিয়েছি। এবার দলীয় প্রার্থী চান নেতা–কর্মী ও ভোটাররা।’

জামায়াত এখানে দলের মহানগরের আমির আবদুল জব্বারকে প্রার্থী করেছে। তিনি এলাকায় প্রচার চালিয়ে আসছেন। আবদুল জব্বার বলেন, মানুষ আর ভোট ডাকাতি চায় না।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন থেকে ওলামা মাসায়েক আইমা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মুফতি ইসমাঈল সিরাজী, খেলাফত মজলিস থেকে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেন গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

এ আসনে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ্ আল আমিন প্রার্থী হতে চান। তিনি বলেন, চলতি মাস শেষেই দলের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর)

শীতলক্ষ্যার দুই পাড় নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি এবার প্রার্থী করেছে ক্রীড়া সংগঠক ও শিল্প উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান মাসুদকে। তিনি এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে আসছেন।

মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়াই আমার মূল লক্ষ্য।’

মাসুদুজ্জামান ছাড়াও এ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, শিল্পপতি আবুল জাফর বাবুল।

এদিকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঈনুদ্দিন আহমেদ। তিনি এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করছেন। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম সিরাজুল মামুনকে এ আসনে প্রার্থী করেছে দলটি। জামায়াতসহ আটটি ইসলামপন্থী দল মিলে নির্বাচনী জোট হলে এ আসনে সিরাজুল মামুন প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনা আছে।

সিরাজুল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইসলামিক আদর্শের ভিত্তিতে আমরা ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক, জনকল্যাণমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচনী মাঠে অবতীর্ণ হয়েছি।’

গণসংহতি আন্দোলন তরিকুল সুজনকে এবং ইসলামী আন্দোলন মাসুম বিল্লাহকে মনোনয়ন দিয়েছে। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী এখানে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় সক্রিয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দল র প র র থ ন র য়ণগঞ জ র ল ইসল ম ম হ ম মদ কর ম দ র র রহম ন সদস য ম র ব এনপ ইসল ম র ব এনপ র আসনট ত র জন ত কম ট র ন দল র প র মন র আহ ব প রথম এ আসন উপজ ল এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাসে জনসাধারণের মতামত নিচ্ছেন মাসুদুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকায় জনজীবনের বাস্তব চিত্র, প্রয়োজন ও প্রত্যাশা নথিভুক্ত করতে “জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” নামে একটি জনমত সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই উদ্যোগের মাধ্যমে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন সমস্যা, প্রয়োজন, প্রত্যাশা এবং স্থানীয় উন্নয়ন সম্পর্কে মতামত লিখে সরাসরি জানাতে পারবেন। 

কর্মসূচিটি ধারাবাহিকভাবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হবে, যাতে সকল শ্রেণি-পেশার নাগরিক তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

মাসুদুজ্জামান বলেন, “নাগরিকের মতামত না জেনে কোনো উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হয় না - এর উদাহরণ আমাদের চারপাশেই রয়েছে। তাই এলাকার মানুষের প্রকৃত চাওয়া, সমস্যা ও প্রত্যাশা জানা-ই কার্যকর পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ। জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাসের মাধ্যমে সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

এর উদ্দেশ্য সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানুষ–কেন্দ্রিক পরিকল্পনার জন্য নাগরিক মতামতকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা।”

প্রায়ই দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যাশা ও মৌলিক প্রয়োজন যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক মানুষের মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে কিছু উন্নয়ন উদ্যোগ জনবান্ধব হওয়ার পরিবর্তে মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অবকাঠামো, সড়কব্যবস্থা, নগরসেবা, স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা-এসব ক্ষেত্রেই নাগরিকের প্রত্যাশা ও বাস্তব সমস্যার প্রতিফলন অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্টভাবে উঠে আসে না। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি এবং উন্নয়ন কাঠামোয় সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

বর্তমান বাস্তবতায় এই অভিজ্ঞতা নারায়ণগঞ্জের মানুষসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেছে, যেখানে প্রান্তিক মানুষের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে মিল না থাকায় অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি বা সাধারণ মানুষের উপকারে সম্পূর্ণভাবে আসতে পারেনি।

জনসাধারণের মতামতের গুরুত্ব আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নাগরিকদের প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব সমস্যাকে মূল্যায়ন করে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করাই এখন সময়ের দাবি।

“জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ সরাসরি লিখিতভাবে জানাতে পারছেন তারা কী পরিবর্তন চান, কোন সমস্যাগুলো সমাধান জরুরি এবং স্থানীয় উন্নয়নে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রাপ্ত লিখিত মতামতগুলো যথাযথভাবে অগ্রাধিকার অনুযায়ী বিশ্লেষণ করা হবে, যা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে দিকনির্দেশক কাঠামো হিসেবে কাজ করবে।

জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” নারায়ণগঞ্জে নাগরিকদের অংশগ্রহণমূলক মতামত সংগ্রহের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাদের চাহিদা, সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মত প্রকাশ করবেন। পরবর্তীতে এসব মতামতকে প্রাথমিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে-এটাই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনা-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করল জামায়াত
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সোনারগাঁও স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসুদুজ্জামানের দোয়া
  • শীতার্ত রাতে শীতবস্ত্র নিয়ে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে ডিসি রায়হান
  • ডেঙ্গু আক্রান্ত বিএনপি-জাসাস নেতা আনিসুল ইসলাম সানি হাসপাতালে ভর্তি
  • যাত্রা শুরু করল অনলাইন সংবাদ মাধ্যম নিউজ ভিউ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল 
  • খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় মহানগর যুবদলের দোয়া
  • জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাসে জনসাধারণের মতামত নিচ্ছেন মাসুদুজ্জামান