নরসিংদীতে আবারো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে জেলার শিবপুর উপজেলায় ৪ দশমিক ১ মাত্রার হালকা ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গত ১৩ দিনের মধ্যে পাঁচটি ভূমিকম্প জেলার মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারা জানান, কখন আবার ভূমিকম্প হয় সেই আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

আবারো ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

ঢাবিতে রবিবার থেকে অনলাইনে চলবে ক্লাস কার্যক্রম

গত ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশে। এর উৎপত্তিস্থলও ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। এতে বিভিন্ন ভবনে ফাটল ধরে এবং ১০ জনের প্রাণহানী হয়। ২২ নভেম্বর জেলার পলাশ ও মাধবদীতে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২৭  নভেম্বর পলাশে ৩ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

শিবপুরের বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, “আজ বৃহস্পতিবার সকালে হওয়া ভূমিকম্পে খুব ভয় পেয়ে যাই। বুঝতেই পারছিলাম না কী হচ্ছে। আগের দিনগুলোতেও নরসিংদীতে ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে।”

ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, “কম্পনটা খুব বেশি সময় ছিল না, কিন্তু কয়েক সেকেন্ডই মনে হয়েছে অনেক লম্বা। পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম।”

স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী আফসানা বলেন, “নভেম্বর মাস থেকে ভূমিকম্প হচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, “এটি ৪ দশমিক ১ মাত্রার হালকা ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায়।”

নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, “আজকে সকালের দিকে ভূমিকম্প হয়েছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। মানুষের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” 

গত এক মাসে দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের মিনজিন এলাকায়। 

আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার। উৎপত্তি স্থল ছিল টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ও নরসিংদী শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে।

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প র ভ ম কম প ৪ দশম ক ল নরস আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

মিয়ানমারের (বার্মা) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ফালামের ৮১ কিলোমিটার পূর্বে একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য দিয়েছে।

ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে এই ভূমিকম্পের একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। দুটি টেকটোনিক প্লেট—ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।

আরও পড়ুন‘এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে’২৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় ফের ভূমিকম্প অনুভূত
  • আবারও ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
  • রাজধানীতে আবার ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
  • আবারও ভূমিকম্প অনুভূত
  • মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত