দলিত জনগোষ্ঠী সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে উপেক্ষা এবং বৈষম্যের শিকার হয়। এর মধ্যে দলিত নারীরা আরও প্রান্তিক অবস্থানে। সামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দলিত জনগোষ্ঠীর পঞ্চায়েত কমিটি, জমি ও স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা, ব্যাংকঋণ নেওয়ার মতো বিষয়গুলো এখনো দলিত নারীদের নাগালের বাইরে। ন্যায্য ও সমতার সমাজ গড়ে তুলতে দলিত নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি। আলাদা কমিশন গঠন করে দলিত জনগোষ্ঠী ও দলিত নারীদের সঠিক পরিসংখ্যান তুলে আনতে হবে। গতকাল বুধবার দলিত নারী ফোরাম ও প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা।

‘দলিত নারীর অধিকার ও অন্তর্ভুক্তি: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে। বৈঠকে বক্তারা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তাঁতি, জেলে, কামার–কুমার, নাপিতসহ বিভিন্ন ধরনের পেশায় কাজ করে যাচ্ছেন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বৈঠকে দলিত নারীদের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ নিশ্চিত, বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালায় দলিতদের স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা, নারীদের প্রতি সহিংসতার মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, দলিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়া, স্বাস্থ্যসেবায় দলিত নারীর প্রতি সংবেদনশীল আচরণ, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দলিত নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিতে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদির দাবি করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে অতিথির বক্তব্যে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেন, নীতিনির্ধারণী জায়গা থেকে ছোট ছোট জনগোষ্ঠীকে একসঙ্গে বড় পরিসরে এনে কাজ করলে তা সেসব গোষ্ঠীর জন্য খুব কাজে আসে না। জনশুমারিতে দলিতদের অংশ আলাদাভাবে আসা দরকার। দলিতদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব জরিপ হয়েছে, সেগুলোকে মূলধারার সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র দিয়ে প্রকাশ করা দরকার। তাহলে মূলধারার সঙ্গে বৈষম্য কোথায় কতটুকু, তা আরও স্পষ্ট হবে। তিনি রাজনীতি ও নারী আন্দোলনের ক্ষেত্রে মৌলিক মর্যাদায় সব জনগোষ্ঠীর জন্য এক হওয়ার আহ্বান জানান।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব কে এম মামুন উজ্জামান বলেন, অর্থনীতি, রাজনীতি ও আইনি সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। এককভাবে কোনো কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার চেয়ে জনগোষ্ঠীর বৃহৎ স্বার্থে দলিতদের সোচ্চার হতে হবে। দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকল্প নিলে বা পরিকল্পনা করলে এনজিও ব্যুরো তাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা শাখা) এম এম মাহমুদুল্লাহ বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের আওতায় ১৭টির স্থলে এবার ৯০টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। তবে ‘অনগ্রসর জনগোষ্ঠী’ শব্দ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে প্রয়োজনে তা সংযোজন–বিয়োজন করা হবে। দলিতসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকার ঘাটতি স্বীকার করে তিনি বলেন, সরকার ও দেশি-বিদেশি সংস্থাকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাবিনা ফেরদৌস বলেন, ‘অনগ্রসর জনগোষ্ঠী’ বলা হচ্ছে, সামাজিক সংস্কার ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। সমাজে বিভিন্নজনের মানসিক সীমাবদ্ধতার কারণে নারীদের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে একে অপরের প্রতি মর্যাদা ও সহমর্মিতার দৃষ্টি থাকা উচিত।

সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন

গোলটেবিলে বৈঠকে দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানি ভিডিও বার্তায় বলেন, বাবা তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে তিনি প্রতিকূলতা ঠেলে এগোতে পেরেছেন। দলিত নারীদের এগিয়ে নিতে তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বৈঠকে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন দলিত নারী ফোরামের প্রকল্প সমন্বয়কারী ইসরাত লাইলা। ধারণাপত্রে বলা হয়, দেশে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠীর বসবাস, যার অর্ধেক নারী। ৮১ শতাংশ দলিত নারী জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। শুধু জাতিগত কারণেই নয়, লিঙ্গভিত্তিক নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার কারণে তাঁরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করেন।

বৈঠকে দলিত নারী ফোরামের সভাপতি সবিতা দাস বলেন, দলিত নারীরা প্রতিকূলতা ঠেলে আগের চেয়ে এগিয়েছেন। অনেকে বাড়িতে বসে না থেকে কাজ করছেন, অনেকে কাজের খোঁজ করছেন। এই নারীদের এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, জনস্বার্থে করা একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট দলিত ও হরিজনদের জন্য একটি পৃথক কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই কমিশন হলে দলিতদের জন্য পরিকল্পনা করতে নীতিনির্ধারকদের সুবিধা হতো। কত দলিত আছে, তা নিয়ে শুমারি হওয়া দরকার। ঢাকায় বহু খাসজমি রয়েছে। তা–ও ৪০০ বছর ধরে দলিতরা উদ্বাস্তু। তিনি বলেন, আগের চেয়ে দলিতদের মধ্যে শিক্ষার হার বেড়েছে। তবে কর্মসংস্থানের অভাবে শিক্ষাবিরোধী মনোভাবও দেখা যাচ্ছে। দলিত নারীদের কর্মসংস্থান, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সংসদে আসন ও সামাজিক সুরক্ষায় অভিগম্যতা থাকার বিষয়ে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদন ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেন তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কোন দল বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়, সেটা আমরা দেখতে চাই। বৈচিত্র্যকে স্বীকার না করা সামনের দিকে এগোনোর পথে একটা বড় বাধা। বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে ন্যায্যতা ধরে এগোনো দরকার।’

গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, ব্লাস্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (আইন ও গবেষণা) মনীষা বিশ্বাস, নাগরিক উদ্যোগের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাদিরা পারভীন, দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী সরস্বতী দাস, দলিত নারী ফোরামের কর্মসূচি কর্মকর্তা তামান্না সিং বাড়াইক বক্তব্য দেন।

বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দল ত ন র দ র দল ত ন র র জনগ ষ ঠ র ব যবস থ ক জ কর র জন য র জন ত স রক ষ দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে ঢাকায় নেমে দুপুরে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং খালেদা জিয়াকে দেখেন। এরপর তিনি খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনগুলোও দেখেন।

তবে এই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। গত রাতে চীন থেকে এসেছেন আরও চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাঁরা রাতেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত হন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বেগে রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।

বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, সর্বশেষ গত রাতে আসা চীনের চারজন চিকিৎসক হলেন কাই জিয়ানফাং, ইউয়ান জিন, মিজ ঝাং ইউহুই ও মিজ মেং হং। তাঁরা রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব স্বাগত জানান।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেটা কিছুটা উন্নতির দিকে। হৃদ্‌যন্ত্রে জটিলতা রয়েছে। বাকি সমস্যাগুলো অনেকটাই অপরিবর্তিত।

হাসপাতালের প্রধান ফটক কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতাল এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। হাসপাতালের নিকটবর্তী দুটি মাঠে আজ সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের পরীক্ষামূলক অবতরণ ও উড্ডয়নের কথা রয়েছে। এ নিয়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি না ছড়াতে সরকারের দিক থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গতকালও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির নেত্রীর খোঁজখবর নিয়েছেন। সবার মুখে প্রশ্ন, খালেদা জিয়ার অবস্থা কোন পর্যায়ে, তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে দেখতে দেশে আসছেন কি না ইত্যাদি।

তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়েও বিদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা মতামত দেবেন। এই মতামতের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে এবং পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি বেগম জিয়ার পরিবার ও দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে। তাঁরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিনস হাসপাতাল এবং যুক্তরাজ্য ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানান।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও ছিলেন।

আরও যাঁরা গেলেন

এর আগে গতকাল দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম হাসপাতালে যান। তাঁরা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

পরে ফয়জুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁদের থেকে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। আগের মতোই এখন পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত খুব পরিবর্তন হয়েছে—এ রকম তাঁরা আমাকে খবর দিতে পারেন নাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ