জাপার মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান পেলেন এনসিপির পদ
Published: 4th, December 2025 GMT
সংগঠনের পঞ্চগড় জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে, কমিটি প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কমিটিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদেরও পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদন হয়।
আরো পড়ুন:
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জাপার, সুস্থতা কামনা
নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে
এই কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর তালিকায় আছেন ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আগে তিনি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সদস্য ছিলেন জাপার জেলা কমিটির। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ কমিটির আরো দুজন যুগ্ম সমন্বয়কারী আগে জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। তারা হলেন—আব্দুল লতিফ ও মতিয়ার রহমান।
এনসিপির পঞ্চগড় জেলা কমিটি অনুমোদনের পর থেকে শুরু হয় সমালোচনা। জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ ফেসবুকে লিখেছেন, “কাউকে ছোট করার জন্য নয়। এটা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হচ্ছে এনসিপি থেকে, আবার ওই দুই পার্টির নেতাদের এনসিপির কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে। এদের চিনেন?”
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক ফেসবুকে লিখেছেন, “জাতীয় পার্টি যদি দোসর হয়, তাহলে জাপার লোক দিয়ে কমিটি কেন? ভাই।”
আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “একদিকে বলছে, জাতীয় পার্টির সাথে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির লোক দিয়ে কমিটি দেয়। এই হলো তাদের চরিত্র।”
এ ব্যাপারে আবু সালেক সাংবাদিকদের বলেছেন, “হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনসহ এনসিপির পঞ্চগড় জেলা কমিটির তিনজন আগে জাতীয় পার্টিতে ছিল। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এনসিপির জেলা কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং সদর উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী তানবীরুল বারী নয়ন বলেছেন, “আমাদেরকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।”
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প সমন বয়ক র এনস প র প কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের দাপুটে জয়
স্প্যানিশ লা লিগায় ফের জয়ের দেখা পেল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সান মামেসে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল লস ব্লাঙ্কোস। জয়ের নায়ক স্বভাবতই কিলিয়ান এমবাপ্পে। করেছেন দারুণ এক জোড়া গোল।
ম্যাচের শুরুতেই, মাত্র সাত মিনিটে গোলের খাতা খোলেন এমবাপ্পে। সেই গোলের পথে ইংলিশ রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ছিল সরাসরি অবদান। রিয়ালের জার্সিতে এটিই তার প্রথম অ্যাসিস্ট। তবে দুর্ভাগ্য- প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই উরুর চোটে লিম্পিং করে মাঠ ছাড়তে হয় সাবেক লিভারপুল তারকাকে। ৪২ মিনিটে কামাভিঙার গোলের পর রিয়াল যখন ২-০ গোলে এগিয়ে, তখনই আর্নল্ডকে তুলে নিতে বাধ্য হয় দল। বিরতির পর চোটের কারণে আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি।
আরো পড়ুন:
বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করে দেন। এটি তার চলতি লা লিগা মৌসুমের ১৬তম গোল।
এর আগে মঙ্গলবার বার্সেলোনা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছিল। রিয়াল সেই ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যেই মাঠে নামে। আর শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে জাবি আলোনসোর দল।
এমবাপ্পের প্রথম গোলটি ছিল নিখাদ শিল্প। মাঝমাঠের বাইরে থেকে বল নিয়েই বাঁ পায়ের কার্লিং শটে ২০ গজ দূর থেকে জালে জড়ান তিনি। এর আগেই এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দু’জনই গোলের খুব কাছে গিয়েছিলেন।
বিলবাওও কিছুটা প্রতিরোধ দেখিয়েছে। ৩১ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বেরেঙ্গারের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। তার আগে গুরুজেতার শটেও পরীক্ষা দিয়েছিলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
অন্যদিকে আক্রমণভাগে রিয়ালের গতি ছিল অবিশ্বাস্য। ভিনিসিয়ুস একবার পোস্টে লাগান, আরেকবার তাকেও দারুণ সেভে ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমন। তবে ৪২ মিনিটে আসে রিয়ালের পুনরায় উল্লাসের উপলক্ষ্য। এ সময় ডান দিক থেকে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের তোলা নিখুঁত ক্রসে এমবাপ্পে হেড করে বল বাড়ান গোলমুখে। সেখান থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন কামাভিঙা।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্নল্ড আবারও ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু রিয়ালের গতি এতে থামেনি। ৫৯ মিনিটে দূরপাল্লার এক দারুণ শটে এমবাপে আবারও জাল খুঁজে পান। তাতে রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।
এরপর আলোনসো রক্ষণশীল সিদ্ধান্ত নিয়ে একে একে তুলে নেন দলের তারকাদের। শেষ ১০ মিনিট থাকতে এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস দু’জনকেই বদলি করা হয়। মাঠ ছাড়ার সময় কোচকে আলিঙ্গন করে ধন্যবাদ জানান ভিনিসিয়ুস।
শেষ দিকে বিলবাও গোলের জন্য চাপ তৈরি করলেও কোর্তোয়ার নিরাপদ হাতের সামনে পর্যুদস্ত হয় তারা। ক্লিন শিট রেখেই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে ১৫ ম্যাচ থেকে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল। সমান ম্যাচ থেকে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। আর ২০ পয়েন্ট নিয়ে বিলবাও আছে টেবিলের অষ্টম স্থানে।
ঢাকা/আমিনুল