পঞ্চগড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী নিহত
Published: 4th, December 2025 GMT
পঞ্চগড়ে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকের চাপায় নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে জেলা শহরসংলগ্ন করতোয়া সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আনারুল ইসলাম (৪৭)। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরোপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রসেস সার্ভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে আটোয়ারী উপজেলা পরিষদের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন আনারুল ইসলাম। করতোয়া সেতু পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা তেঁতুলিয়াগামী একটি ট্রাকের সামনে পড়ে যান তিনি। এ ঘটনায় সামনে থেকে আসা ট্রাকের চাকায় হেলমেটসহ তাঁর মাথা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি থামিয়ে রেখে চালক পালিয়ে যান। তবে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ট্রাকচালকের সহকারী মজিবর শেখকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় যুবক খোকন আলী। তিনি বলেন, ‘আমি শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ছিলাম। করতোয়া ব্রিজের ওপর দুর্ঘটনা হলো শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি, ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে মোটরসাইকেল আরোহী ওই ব্যক্তির মাথা চাপা খেয়ে আছে। পরে আমরা পুলিশ আর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। সম্ভবত ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলটি বাঁ দিকে কোনো ইজিবাইক বা অন্য কোনো যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডান দিকে ট্রাকের নিচে পড়ে গেছে।’
পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে বিআরটিসির ডিপোয় গভীর রাতে আগুনে পুড়ে গেছে দুটি বাস
নোয়াখালীতে গভীর রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ডিপোয় পার্ক করা দুটি দ্বিতল বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বাস দুটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাস দুটি নোয়াখালীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আনা–নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। নাম ছিল ‘মালতী’ ও ‘গুলবাহার’। আগুন দেওয়ার এ ঘটনায় আরও একটি বাস আংশিক পুড়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানতে চাইলে নোয়াখালীর মাইজদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শামছুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সোনাপুর বিআরটিসির বাস ডিপোয় যায়। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকেরা বিআরটিসির ডিপোর সামনে যান। তবে তাঁদের ডিপোতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে জানতে চেয়ে ডিপোর ব্যবস্থাপক আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোমায়রা ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুনে দুটি বাস সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। একটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে বাসগুলোয় আগুন লাগিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করতে বলা হয়েছে।’