গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ এবং ব্যবসা প্রসারের অংশ হিসেবে ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ভাইব্রেন্ট ঢাকার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র মিরপুর-১ এ একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন সেলস সেন্টারের উদ্বোধন করেছে। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন ভাইব্রেন্টের রিটেইল ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম রবিন।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

স্বল্প সময়ের মধ্যে ভাইব্রেন্ট নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যাত্রা শুরুর পর থেকেই তারা গ্রাহকদের চাহিদা, রুচি, আধুনিকতা এবং ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য নিয়মিত আধুনিক ডিজাইনের জুতার কালেকশন নিয়ে আসছে।

ভাইব্রেন্ট তাদের পণ্যের মান ও দামের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সকল পণ্য নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি হয়। প্রত্যেকটি শোরুমে জুতা ছাড়াও ভাইব্রেন্ট ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের লেদার সামগ্রী, ট্র্যাভেল ব্যাগ, পুরুষ গ্রাহকদের জন্য শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের জন্য আধুনিক ডিজাইনের পোশাকসহ অন্যান্য লাইফস্টাইল সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। সকল আউটলেটে সহস্রাধিক ডিজাইনের বিভিন্ন লাইফস্টাইল পণ্যের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। 

নতুন শোরুমের উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার পর্যন্ত যেকোনো পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় সুবিধা উপভোগ করা যাবে। মিরপুর-১ নিউ মার্কেটের ২য় তলায় এই নতুন শোরুমটির অবস্থান।

যেকোনো সেবা পেতে ০১৭৪১৪০৬৮৭১ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। ভাইব্রেন্ট তাদের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে তারা ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটি জেলা শহরে এবং এমনকি উপজেলা পর্যায়েও তাদের উপস্থিতি বিস্তারের পরিকল্পনা করেছে। কম মূল্যে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতেই ভাইব্রেন্ট তাদের পণ্য দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য প্রতিটি শোরুমে নগদ টাকা ছাড়াও ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনা যাবে। এরইমধ্যে অনলাইনেও ভাইব্রেন্টের সকল পণ্য গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র দ র জন য ড জ ইন র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কেনা হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হচ্ছে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম। পাঁচ মাস আগের তুলনায় এ গমের দাম পড়ছে প্রতি টনে ১০ মার্কিন ডলার বেশি। দরপত্র ছাড়া সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে এ গম আনা হচ্ছে। এবার প্রতি টনের দাম পড়ছে ৩১২ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন গমের মোট দাম পড়ছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম হবে ৮৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা প্রতি টন গমের দাম ছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলার।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে এ সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গম সরবরাহের এ কাজ পেয়েছে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড।

গত ১ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ নির্ধারিত হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। এর পর থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করে আসছে বাংলাদেশ।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা একটু বৈচিত্র্য আনতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে গম আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা যায়। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গমের মানও ভালো।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি কমাতে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারিভাবে গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গম রপ্তানিকারক সমিতি বা ইউএস হুইট সমিতির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর এই চুক্তি করে।

সমঝোতা চুক্তির আওতায় পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরওয়ারি প্রতিযোগিতামূলক দামে সাত লাখ টন গম আমদানি করা হবে। পাঁচ বছরে আনা হবে ৩৫ লাখ টন গম।

এদিকে ক্রয় কমিটির আজকের সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রতি টন ৪০৯ দশমিক ৫ ডলারে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ১৭৯ দশমিক ৮৫ টাকা দরে সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল, ১৬১ টাকা দরে তামিম অ্যাগ্রো থেকে ৩০ লাখ ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে ৭০ লাখ, অর্থাৎ ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কেনা হচ্ছে