আবারও শুরু হয়েছে তরুণ পেশাজীবী ও উদ্ভাবকদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ কর্মসূচি ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট এসডিজি ইনোভেশন অ্যাকসেলারেটর। প্রোগ্রামটি জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্টের একটি উদ্যোগ। এটির মূল লক্ষ্য হলো তরুণ পেশাজীবীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করা।

প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য

এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও টেকসই ব্যবসা পরিচালনার প্রশিক্ষণ পাবেন। পাশাপাশি তাঁরা বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরুণ পেশাজীবীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান বের করতে পারবেন।

অংশগ্রহণের যোগ্যতা

—বয়স হতে হবে ৩৫ বছরের নিচে।

—টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ব্যবসা মডেল এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।

—প্রতি মাসে কমপক্ষে চার ঘণ্টা শেখার কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে।

—প্রোগ্রামের অন্তত চারটি পূর্ণ দিবসের ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুবিধা

—অনলাইন ও সরাসরি ওয়ার্কশপ, কেস স্টাডি, কোম্পানি ভিজিট এবং আলোচনা ফোরামে অংশগ্রহণের সুযোগ।

—ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে শিল্পভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ।

—মেন্টরিং, কোচিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি।

—টেকসই উন্নয়ন, নেতৃত্ব ও উদ্ভাবন বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ।

—বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির তরুণ পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত গ্লোবাল নেটওয়ার্কের অংশ হওয়ার সুযোগ।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা: ভিসা–জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের যে নতুন নির্দেশনা০৩ ডিসেম্বর ২০২৫এ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ পেশাজীবীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তর ণ প শ জ ব দ র লক ষ য র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল

শরীয়তপুরে মশালমিছিল করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার বিলাশখান এলাকায় পালং-বুড়িরহাট সড়কে এ মিছিল বের করা হয়।

এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির মশালমিছিল ও বিক্ষোভ মিছিলের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপলোডও করা হয়েছে। ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়। কেউ কেউ হেলমেটও পরেছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের দলটির নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও শোনা গেছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন মামলায় কারাগারে গেছেন, অনেকে আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন সময় রাতের আঁধারে মশালমিছিল, দেয়ালে পোস্টার লাগানো ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি পালনের তথ্য পুলিশের কাছে নেই। রাতের আঁধারে অনেক সময় ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যান কয়েকজন। মশালমিছিল করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল