শ্রীলঙ্কায় জরুরি সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ
Published: 4th, December 2025 GMT
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীলঙ্কায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবিক সহায়তাসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ একটি উড়োজাহাজ গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তাসামগ্রী হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে খাদ্যপণ্য, জরুরি ওষুধ, তাঁবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সময়মতো এ মানবিক সহায়তা পেয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার বাংলাদেশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
‘দিতওয়া’ ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তী বন্যায় শ্রীলঙ্কাজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এবারের দুর্যোগে দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ খোকসা মুক্ত দিবস
আজ ৪ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়ার খোকসা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পরাজয় ঘটে পাকিস্তানিদের। সেদিন, হাজার হাজার মানুষ মুক্ত খোকসার রাস্তায় বের হয়ে আসেন। খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
আজ ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস
‘১৭ বছরে ৯৪ হাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আড়াই লাখ করা হয়েছে’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সদর উদ্দিন খান বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়। থানা সদরের খোকসা হাইস্কুল, শোমসপুর হাইস্কুল, গনেশপুরের গোলাবাড়ীর নিলাম কেন্দ্র, মোড়াগাছায় রাজাকার বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। এ জনপদে হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ইউনিট।
তিনি বলেন, প্রথমে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি পুলিশের থানা দখলের পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে মুজিববাহিনী কমান্ডার আলাউদ্দিন খান, কে.এম মোদ্দাসের আলী, নুরুল ইসলাম দুলাল, সাইদুর রহমান মন্টু, রোকন উদ্দিন বাচ্চু, তরিকুল ইসলাম তরুর নেতৃত্বে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা থানা চারদিক থেকে আক্রমণ করেন। রাতভর গুলি বিনিময়ের পর ভোরে ১০৫ জন পুলিশ ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে।
সেখান থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও আটককৃতদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে ক্যাম্পে পৌছান। ৪ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের একটি বড় দল আবার থানা দখলের চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে মিলিশিয়া ও পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের দলটি খোকসা ত্যাগ করে। এরই মাধ্যমে খোকসা হানাদার মুক্ত হয়।
তিনি জানান, ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন। এসময় মুক্তিকামী ছাত্রজনতা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ