চলতি শুকনো মৌসুমের অর্থাৎ অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় ধারাবাহিকভাবে কমবেশি থেকেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

অক্টোবরের শেষে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে দিল্লির বাতাসের দূষণ কমানোর চেষ্টা হয়েছিল। সে উদ্যোগ অবশ্য সফল হয়নি। আর বায়ুদূষণে অনেক দিনই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থেকেছে পাকিস্তানের করাচি বা লাহোর। আজ বৃহস্পতিবার সেই তালিকায় শীর্ষে আছে ঢাকা। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে দিল্লি। এ চিত্র সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এ সময় ঢাকার বায়ু মান ছিল ২৯৪। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লির বায়ুমান ২৭৮।

বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

বায়ুর মান ২০০-এর বেশি হলে তাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা হয় ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এর মধ্যে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার বায়ুমান ৩০০ অতিক্রম করেছিল।

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বিভিন্ন সময় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখনো নানা উদ্যোগ-কথাবার্তা শোনা যায় হয়। কিন্তু বায়ুদূষণ পরিস্থিতির দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এটা শুধু যে ঢাকায়, তা নয়, সারা দেশে। কোনো কোনো দিন ঢাকাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য শহরের বায়ুর মান।

ঢাকার ৫ স্থানে বায়ুদূষণ বেশি

আজ ঢাকার পাঁচ স্থানের বায়ু বেশি দূষিত। স্থানগুলো হলো পল্লবী দক্ষিণ (৩৮৬), বে’জ এজ ওয়াটার (৩২৮), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৯৮),  কল্যাণপুর (২৭৬) এবং গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৭৩)।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। আজ তা খুব অস্বাস্থ্যকর।

সুরক্ষায় নগরবাসী যা করবেন

আইকিউএয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী, আজ ঢাকার বায়ুর যে মান, তাতে বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরতে হবে। বাড়ির বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আর ঘরের জানালাগুলো যতটুকু সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধানুশ-কৃতির সিনেমার আয় ১৩৬ কোটি টাকা

আনন্দ এল রাই নির্মিত মিউজিক্যাল-রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমা ‘তেরে ইশক মে’। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার তারকা ধানুশ ও বলিউড অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। গত ২৮ নভেম্বর, বিশ্বের ২ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এটি। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।    

অমর উজালা পত্রিকায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির সমালোচনায় কিরণ জৈন পাঁচে রেটিং দিয়েছেন তিন। তিনি লিখেছেন, “সামগ্রিকভাবে ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমা অবশ্যই দেখা উচিত। বিশেষত তাদের যারা ভালোবাসার গল্প দেখতে পছন্দ করেন।” বলি‌উড হাঙ্গামা পাঁচে রেটিং দিয়েছে ৩। সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, “এটি একটি তীব্র প্রেমকাহিনি।” এ লেখায় সিনেমাটিকে ‘স্মরণীয় নাটকীয় মুহূর্ত’, প্রধান অভিনেতাদের ‘শক্তিশালী’ অভিনয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ‘অতিরিক্ত’ এবং দ্বিতীয়ার্ধ ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করা হয়েছে, যা সিনেমাটির প্রভাবকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন:

বক্স অফিসে ধানুশ-কৃতির প্রেম কতটা জমেছে?

শুটিং শুরুর পরই প্রভাসের সিনেমার আয় ২১৭ কোটি টাকা

হিন্দুস্তান টাইমসের ঋষভ সুরি পাঁচে রেটিং ৩ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আনন্দ এল রাইয়ের একটি অশান্ত, অসম প্রেম কাহিনি, যা ধানুশ ও কৃতি স্যাননের শক্তিশালী অভিনয়ে উজ্জ্বল হয়েছে।” ইন্ডিয়া টুডের সানা ফারজিন পাঁচে রেটিং ২.৫ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “তেরে ইশক মে’ সিনেমায় জটিল, টক্সিক লাভ ও আবেশের গল্প দেখানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক। শক্তিশালী অভিনয় থাকার পরও ক্রুটিযুক্ত গল্প দর্শকদের অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে। তাছাড়া নিউজ১৮, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি পাঁচে রেটিং তিন দিয়েছে। 

গত চার দিনে বক্স অফিসে কেমন সাড়া ফেলেছে ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমা? বলি মুভি রিভিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বলিউডের ৪৩টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকায় ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমার অবস্থান অষ্টম (১৫.৩৯ কোটি রুপি)। সিনেমাটি দ্বিতীয় দিনে আয় করে ১৬.৪১ কোটি রুপি, তৃতীয় দিনে আয় করেছে ১৮.৮৫ কোটি রুপি, চতুর্থ দিনে আয় করেছে ৮.৩৫ কোটি রুপি, পঞ্চম দিনে আয় করেছে ৯.৫ কোটি রুপি, ৬ষ্ঠ দিনে আয় করেছে ৬.৫ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি)। 

স্যাকনিল্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমা পাঁচ দিনে ভারতে আয় করেছে ৯৫.৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১০০.৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার বেশি)।  

অস্থির ও আবেগপ্রবণ এক তরুণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধানুশ। গল্পে কৃতি স্যাননের প্রেমে পড়েন তিনি। কলেজজীবনে সম্পর্ক জমে উঠলেও পরে মুক্তি অর্থাৎ ধানুশ অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, আর সেখান থেকেই গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। এ আর রাহমানের সংগীত পরিচালনায় সিনেমাটির গানগুলো মুক্তির আগে থেকেই বেশ শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে।  

ধানুশ-কৃতি ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—প্রকাশ রাজ, প্রিয়াংশু, টোটা রায় চৌধুরী, জয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ। ভূষণ কুমার, কৃষ্ণা কুমার, আনন্দ এল রাই প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৫ কোটি রুপি।   

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ