Prothomalo:
2025-11-20@05:26:38 GMT

৮৭ বছর বয়সেও চালাচ্ছেন স্কুটি

Published: 20th, November 2025 GMT

বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, এবার তার প্রমাণ দিলেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের বাসিন্দা মন্দাকিনী শাহ। মন্দাকিনীর বয়স ৮৭ বছর। এই বয়সেও তিনি বোনকে নিয়ে আহমেদাবাদের সড়কে স্কুটি চালিয়ে বেড়ান।

সম্প্রতি দুই বোনের স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়। এই বয়সেও স্কুটি চালিয়ে চলাফেরা করা মন্দাকিনী দেশের বহু মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।

এই বৃদ্ধা হিউম্যানস অব বোম্বেকে বলেন, তিনি ছোট বোন উষাকে খুবই ভালোবাসেন। উষাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বিশ্বস্ত স্কুটিতে চড়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়া তাঁর জন্য দারুণ আনন্দের কাজ।

লোকজন যখন মন্দাকিনীকে প্রশ্ন করেন, ৮৭ বছর বয়সে এসেও তিনি কেন স্কুটি চালাচ্ছেন? তিনি খুব সাধারণভাবে জবাব দেন, ‘ কেন নয়?’

মন্দাকিনী আরও বলেন, তিনি ৬২ বছর বয়সে স্কুটি চালানো শিখেছেন। তাঁর কাছে নিজের স্বাধীনতা সব সময়ই মূল্যবান।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় খুব কম বয়সেই মন্দাকিনীকে পরিবারের অনেক দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তাঁর বাবা স্বাধীনতাসংগ্রামী ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন মন্দাকিনীর বাবা, পুঁজির অভাবে ব্যর্থ হন। তাই টাকাপয়সার টানাটানি সব সময়ই ছিল।

মন্দাকিনী তাঁর মাকে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছেন। সেটা দেখেই তিনি আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে মন্দাকিনী বাল মন্দিরে শিশুদের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন, যদিও সে সময় তিনি ইংরেজিতে বেশ দুর্বল ছিলেন।

তারপর এই নারী সমাজকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। কাজের সূত্রে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মেশার এবং তাঁদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

এ কাজে মন্দাকিনী সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ জন্য একে একে তিনি স্কুটির মতো দেখতে হালকা যান ( মোপেড) চালানো শিখেছেন। তারপর জিপ চালানো এবং শেষ পর্যন্ত ৬২ বছর বয়সে এসে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি কিনে সেটি চালানো শুরু করেন।

মন্দাকিনীর জীবনযাপনের সরল নীতি হলো স্বাধীনভাবে বাঁচা। মন্দাকিনী বিয়ে করেননি। কেন তিনি বিয়ে করছেন না, বহু বছর মানুষ তাঁকে এ প্রশ্ন করেছেন।

এমনকি কেউ কেউ মনে করতেন, তিনি বিধবা। ওই সব মানুষ স্বামী ছাড়া একজন নারীকে অসম্পূর্ণ মনে করেন। কিন্তু মন্দাকিনীর কাছে জীবন প্রতিদিনই নতুন করে ধরা দেয়। একবার তিনি বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু জীবন তাঁকে ভিন্ন পথ দেখিয়েছে এবং তিনি সেই পথ অনুসরণ করে চলছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই নারীর আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের দারুণপ্রশংসা করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন দ ক ন র বছর বয়স র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

৮৭ বছর বয়সেও চালাচ্ছেন স্কুটি

বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, এবার তার প্রমাণ দিলেন ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের বাসিন্দা মন্দাকিনী শাহ। মন্দাকিনীর বয়স ৮৭ বছর। এই বয়সেও তিনি বোনকে নিয়ে আহমেদাবাদের সড়কে স্কুটি চালিয়ে বেড়ান।

সম্প্রতি দুই বোনের স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়। এই বয়সেও স্কুটি চালিয়ে চলাফেরা করা মন্দাকিনী দেশের বহু মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।

এই বৃদ্ধা হিউম্যানস অব বোম্বেকে বলেন, তিনি ছোট বোন উষাকে খুবই ভালোবাসেন। উষাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বিশ্বস্ত স্কুটিতে চড়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়া তাঁর জন্য দারুণ আনন্দের কাজ।

লোকজন যখন মন্দাকিনীকে প্রশ্ন করেন, ৮৭ বছর বয়সে এসেও তিনি কেন স্কুটি চালাচ্ছেন? তিনি খুব সাধারণভাবে জবাব দেন, ‘ কেন নয়?’

মন্দাকিনী আরও বলেন, তিনি ৬২ বছর বয়সে স্কুটি চালানো শিখেছেন। তাঁর কাছে নিজের স্বাধীনতা সব সময়ই মূল্যবান।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় খুব কম বয়সেই মন্দাকিনীকে পরিবারের অনেক দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তাঁর বাবা স্বাধীনতাসংগ্রামী ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন মন্দাকিনীর বাবা, পুঁজির অভাবে ব্যর্থ হন। তাই টাকাপয়সার টানাটানি সব সময়ই ছিল।

মন্দাকিনী তাঁর মাকে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছেন। সেটা দেখেই তিনি আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে মন্দাকিনী বাল মন্দিরে শিশুদের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন, যদিও সে সময় তিনি ইংরেজিতে বেশ দুর্বল ছিলেন।

তারপর এই নারী সমাজকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। কাজের সূত্রে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মেশার এবং তাঁদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

এ কাজে মন্দাকিনী সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ জন্য একে একে তিনি স্কুটির মতো দেখতে হালকা যান ( মোপেড) চালানো শিখেছেন। তারপর জিপ চালানো এবং শেষ পর্যন্ত ৬২ বছর বয়সে এসে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি কিনে সেটি চালানো শুরু করেন।

মন্দাকিনীর জীবনযাপনের সরল নীতি হলো স্বাধীনভাবে বাঁচা। মন্দাকিনী বিয়ে করেননি। কেন তিনি বিয়ে করছেন না, বহু বছর মানুষ তাঁকে এ প্রশ্ন করেছেন।

এমনকি কেউ কেউ মনে করতেন, তিনি বিধবা। ওই সব মানুষ স্বামী ছাড়া একজন নারীকে অসম্পূর্ণ মনে করেন। কিন্তু মন্দাকিনীর কাছে জীবন প্রতিদিনই নতুন করে ধরা দেয়। একবার তিনি বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু জীবন তাঁকে ভিন্ন পথ দেখিয়েছে এবং তিনি সেই পথ অনুসরণ করে চলছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই নারীর আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের দারুণপ্রশংসা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ