ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় চম্পা বেগম (৫৩) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বনমালীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চম্পা বেগম উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালীয়া গ্রামের মনু কাজীর স্ত্রী। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

শ্রীনগরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে চম্পা বেগম মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি ট্রাক তাক চাপা দিয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় এবং আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তামিম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের ক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো ‘কৃতজ্ঞতা’ দেখায়নি ইউক্রেন

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার করা পরিকল্পনা মেনে নিতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যেই এটা স্পষ্ট। এরই মধ্যে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘কোনো কৃতজ্ঞতা দেখায়নি’ ইউক্রেন।

ট্রাম্প এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তৈরি ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। এই বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার প্রতি শূন্য কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছে ইউক্রেনের নেতৃত্ব।’ প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যে ‘মানবিক বিপর্যয়’ দেখা দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পূর্বসূরি জো বাইডেনকেও আক্রমণ করেন। তবে সরাসরি মস্কোর কোনো নিন্দা জানাননি তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনকে নিজেদের পূর্বাঞ্চলের কিছু অঞ্চল রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার কমাতে হবে কিয়েভকে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাও কমবে। এসব শর্ত মস্কোর কাছে কিয়েভের আত্মসমর্পণ করা বলে মনে করছে ইউক্রেন ও দেশটির মিত্ররা।

এ পরিকল্পনা নিয়ে গত কয়েক দিন নানা মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা ‘মেনে নিতে হবে’। কারণ, তিনি (ট্রাম্প) আলাপ-আলোচনার মানসিকতায় এখন নেই। এই পরিকল্পনাই চূড়ান্ত নয়—এমনটা উল্লেখ করার পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, পরিকল্পনা না মানলে জেলেনস্কিকে একাই লড়তে হবে।

পরে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প ইউরোপের দেশগুলোরও সমালোচনা করেন। কারণ, যুদ্ধ শুরুর পরও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কিনেছে তারা। জো বাইডেনকে তিনি ‘কুটিল’ আখ্যা দিয়ে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট একেবারে বিনা মূল্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছেন। পোস্টে পুতিনকে নিয়ে ট্রাম্প শুধু যে কথাটি বলেছেন, তা হলো ‘ঘুমন্ত জো বাইডেন’ হোয়াইট হাউসে ছিলেন বলেই ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পেরেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ