ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় চম্পা বেগম (৫৩) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বনমালীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চম্পা বেগম উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালীয়া গ্রামের মনু কাজীর স্ত্রী। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

শ্রীনগরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে চম্পা বেগম মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি ট্রাক তাক চাপা দিয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় এবং আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তামিম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা

চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আজ বুধবার বিকেলে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন।

ফয়জুল করীম বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। জাতির এই ক্রান্তিকালে তাঁর উপস্থিতি প্রয়োজন। বিএনপির নেতা–কর্মী ও তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে পেরেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁদের থেকে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। আগের মতোই এখন পর্যন্ত।...এখন পর্যন্ত খুব পরিবর্তন হয়েছে এ রকম তাঁরা আমাকে খবর দিতে পারেন নাই।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঘিরে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা রয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।

৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো বেশ উদ্বেগজনক পর্যায়েই রয়ে গেছে। বিশেষ করে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র, লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতা কাটছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেখা যাচ্ছে চিকিৎসায় এ সমস্যাগুলোর একটির সামান্য উন্নতি হলে অন্যটির অবনতি ঘটছে; যা কয়েক দিন ধরে নানা মাত্রায় উদ্বেগজনকভাবে ওঠানামা করছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনো এই অর্থে আশাবাদী যে তাঁরা খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তিনি তা গ্রহণ করতে পারছেন। ওষুধ কাজ করছে।

যদিও কয়েক দিন ধরে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব চলছে। অনেকে তাঁর অবস্থা ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ বলে রটাচ্ছেন।

তবে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য দলের সব প্রস্তুতি আছে। রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে তাঁদের হাতে নেই।

এরই মধ্যে চীন থেকে চিকিৎসকদের পাঁচ সদস্যের একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ সকালে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েল ঢাকায় এসেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ