ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় চম্পা বেগম (৫৩) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বনমালীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চম্পা বেগম উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালীয়া গ্রামের মনু কাজীর স্ত্রী। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

শ্রীনগরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে চম্পা বেগম মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি ট্রাক তাক চাপা দিয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় এবং আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তামিম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পেছনে কতটা কাজ করি, তা দেখাই না: জেফার

বর্তমান সময়ের আলোচিত সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেফার রহমান। গানে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর অভিনয়েও পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এবার এক ভিডিও বার্তায় জেফার মন খারাপ ও হতাশার কথা শোনালেন।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় নিজের দীর্ঘদিনের কষ্ট, পরিশ্রমের স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন জেফার। তার ভাষ্য, “অনেকেরই ধারণা, আমি শুধু গান করি—একজন কণ্ঠশিল্পী। এটা ঠিক আছে। কারণ আমরা শিল্পীরা পেছনে কতটা কাজ করি, সেটা দেখাই না। আপনারা জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ে স্থগিত: স্মৃতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ, মুখ খুললেন গায়কের মা

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন কণ্ঠশিল্পী পূজা

তার কাজ শুধু গান গাওয়া নয়। এ তথ্য উল্লেখ করে জেফার বলেন, “সত্যিকার অর্থে আমি শুধু গান করি না। গান সুর করা, কথা লেখা, প্রস্তুতি, মিউজিক ভিডিও—সবকিছুতে আমাকে নিজে যুক্ত থাকতে হয়। আমার গানের ৯০ শতাংশই আমার নিজের সুর। লিরিক্সেও আমি অনেক সময় জড়িত থাকি।” 

মন খারাপের কথা জানিয়ে জেফার বলেন, “এত কষ্ট করে গান প্রকাশের পর প্রশংসা যেমন আসে, গালিও আসে। কিন্তু যখন মানুষ গানের পেছনে থাকা আমার পরিশ্রম বোঝে না, আমার অবদানটুকু দেখে না—তখন খুবই খারাপ লাগে। এটা মাঝে মাঝে মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে এখন। তাই আজ এসব নিয়ে বলছি।” 

সবশেষে শিল্পীদের, বিশেষ করে নারী শিল্পীদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান জেফার রহমান। তার বক্তব্য, “প্লিজ, শিল্পীদের সাপোর্ট করুন—বিশেষ করে নারী শিল্পীদের। আমাদের অনেক সামাজিক বাধা পেরিয়ে কাজ করতে হয়। তারপর নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যে হতাশ হয়ে পড়ি। বাংলাদেশের মতো দেশে এই কাজ বেছে নেওয়া সহজ নয়… আপনাদের সামান্য সাহায্যই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ