বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘‘কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’’

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের পিচুরিয়ায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘‘মওলানা ভাসানী জিয়াউর রহমানকে দোয়া করেছিলেন। সবাইকে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান দেশপ্রেমিক ও সৎ মানুষ। তার দলে যোগ দিতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘মওলানা ভাসানী সব সময় মানুষের অধিকারে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন জনগণের পক্ষে।’’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ দ ন মওল ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে জামাল ভূঁইয়ার হাত ধরে ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল উৎসবের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম নতুন সাজে সেজে উঠেছে তৃতীয় ইস্পাহানি–প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। রঙিন বেলুন, ব্যানার ও ফেস্টুনে সজ্জিত স্টেডিয়ামের ভিতর-বাহির। ভেতরে ‘গোল…গোল…গোল’ থিম সংয়ের তালে তালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, স্লোগান আর আনন্দঘন পরিবেশে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো চত্বর।

এমন উৎসবের আবহেই আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে সমর্থকদের উল্লাসের পাশাপাশি হারের আক্ষেপ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তেজনা মিলিয়ে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের চট্টগ্রাম পর্ব পেয়েছে বর্ণিল সূচনা।

সকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন পরিণত হয়েছিল তারার মেলায়। ঢাকা থেকে এসে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক চার অধিনায়ক—টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ইমতিয়াজ সুলতান জনি, চট্টগ্রামের সন্তান মামুনুল ইসলাম ও জাহিদ হাসান এমিলি। তাঁদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামের উৎসবমুখর পরিবেশে যোগ হয় বাড়তি উচ্ছ্বাস। জামালকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের সেলফি তোলা তোলার হিড়িক পড়ে। জাতীয় দলের অধিনায়ককে কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীরা ছিলেন আপ্লুত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি, ইস্পাহানি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা শাকির ইস্পাহানি, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জামাল ভূঁইয়া।

ইস্পাহানির পতাকা উত্তোলন করেন মির্জা সালমান ইস্পাহানি। টুর্নামেন্টের পতাকা, প্রথম আলোর পতাকা ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে এসে নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে নিজের খেলার স্মৃতিচারণা করেন তিনি। এই মাঠে শেখ কামাল টুর্নামেন্টে খেলেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে। জামাল বলেন, ‘এই মাঠে আছে আমার অনেক ভালো স্মৃতি। ইস্পাহানি-প্রথম আলোকে ধন্যবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সামনে এমন একটি মঞ্চ পেতে দেওয়ার জন্য।’

অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেন তিনি, ‘ইস্পহানি-প্রথম আলো তোমাদের সামনে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সেটি কাজে লাগাতে হবে। মনের আনন্দের খেল, উপভোগ কর, নিজেকে মেলে ধর।’

নকআউটভিত্তিক টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচটা হয়েছে বেশ নাটকীয়। প্রথম ম্যাচেই পাওয়া গেছে টাইব্রেকারে উত্তাপ। ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম পিছিয়ে পড়েও খেলায় ফিরে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে। খালেদ বিন সেলিম এগিয়ে নেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে। ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক অন্তিম হোসেন সৈকত। এরপর টাইব্রেকারে জেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন জয়ী দলের অন্তিম হোসেন সৈকত। তাঁর হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেন জামাল ভূঁইয়া, মির্জা সালমান ইস্পাহানি ও আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু। গত বছরও প্রথম ম্যাচে টাইব্রেকারে জিতেছিল ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে এবার ঢাকার ২৮টি, চট্টগ্রামের ১০টি, খুলনা ও রাজশাহীর ৪টি করে মোট ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রামে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ঢাকায়।

২৩ নভেম্বর রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ও ২৫ নভেম্বর খুলনা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা মাঠে ওই দুটি অঞ্চলের খেলা হবে। এরপর ২৮ নভেম্বর ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে শুরু হবে ঢাকার আঞ্চলিক পর্বের খেলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ