অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান: উপদেষ্টা
Published: 15th, January 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, ‘‘প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশের ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ।’’
তিনি বলেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এফএও-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী ও তার প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য এফএও প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দীকাল ধরে একইভাবে রয়েছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে এফএও গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।’’
সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম আলো আজ শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান
নানা প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও প্রথম আলো কখনো সত্য প্রকাশে পিছপা হয়নি। সত্যই প্রথম আলোর সাহস ও শক্তি। সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের কারণে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রথম আলোর পথচলা ছিল স্রোতের বিপরীতে। প্রথম আলো আজ শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজের অসংগতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রথম আলো আরও বেশি ইতিবাচক খবর উপস্থাপন করবে—এটাই পাঠকদের প্রত্যাশা।
প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। এতে কুমিল্লার শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, গণমাধ্যমকর্মী, উদ্যোক্তা, লেখক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা, আইনজীবী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে প্রথম আলো সম্পর্কে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবেশের শুরু হয়। পরে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
‘আমরা প্রথম আলোর পাশে রয়েছি’
সমাবেশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ‘প্রথম আলো তার নিজস্বতা নিয়ে যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশে তারাই প্রথম বলে আমি মনে করি। অতীতের মতো আগামী দিনেও প্রকৃত সত্য তুলে ধরবে প্রথম আলো সব সময়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, প্রথম আলো পত্রিকা সব সময় সত্যটাই প্রকাশ করে। এটাই তাঁদের শক্তি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ বলেন, ‘২৭ বছর ধরে একটি পত্রিকা প্রকাশ হওয়া মানে এই পত্রিকা আমাকেও গড়ে তুলেছে। কারণ, এই পত্রিকার শিক্ষা পাতার নিয়মিত পাঠক ছিলাম আমি। গোটা দেশ ও গোটা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠে প্রথম আলো না পড়লে পত্রিকা পড়ার তৃপ্তি পাই না। প্রথম আলো ছাত্রজীবন থেকেই আমার আস্থায় রয়েছে। এখনো প্রতিদিনই প্রথম আলোর সঙ্গে আছি।’
আরও পড়ুনপ্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী২২ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে মঞ্চে বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে