পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, ‘‘প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশের ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি বলেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’’ 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এফএও-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী ও তার প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য এফএও প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দীকাল ধরে একইভাবে রয়েছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে এফএও গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।’’ 

সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা

তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে প্রকার ভেদে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। চাহিদা তুলনায় বাজারে আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করলে এই পণ্যটির দাম কমতে শুরু করবে। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিনদিন আগে খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বর্তমান দাম বৃদ্ধি পেয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। নতুন মুড়ি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস লভ্যাংশ দিল এপেক্স ফুটওয়্যার

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল খালেক বলেন, “তিন দিন আগে ৯০ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ কিনছিলাম, আজ তা ১২০ টাকা কেজিতে কিনলাম। এভাবে দাম বাড়লে আমরা সাধারণ মানুষ চলব কি করে?”

হিলি বাজারে সবজি ব্যবসায়ী রুবেল শেখ বলেন, “কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের দাম অনেক কম ছিল, বর্তমান বাজারে এই পণ্যটির দাম বেশি। আমরা পাইকারি কিনে তা ১২০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করছি।” 

হিলি বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, “দেশে যে সব মোকাম থেকে আমরা পেঁয়াজ পাইকারি কিনে আনি, ওইসব মোকামে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। তাই দামও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সামনে রমজান মাস, সরকার যদি পেঁয়াজের আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে পেঁয়াজের দাম একেবারে কমে যাবে।” 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ