সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কেডি পাঠক’
Published: 22nd, January 2025 GMT
নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হওয়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাইফ আলী খান। এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর এই দায়িত্ব নিয়েছেন ‘কেডি পাঠক’খ্যাত তারকা রনিত রায়। খবর এনডিটিভির।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিনেতা রনিত রায়ের ‘এইস সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন’ নামে সিকিউরিটি ফার্ম রয়েছে। হামলার শিকার হওয়ার পর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পর্দার চতুর উকিল রনিত রায়কে। গতকাল বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাসায় ফেরার পর সেখানে গিয়েছিলেন রনিত রায়। তবে কী ধরনের নিরাপত্তার আয়োজন করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই অভিনেতা।
গতকাল ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে রনিত রায় বলেন, “আমরা অলরেডি সাইফের সঙ্গে রয়েছি, সে এখন ভালো আছে এবং ফিরে এসেছে।”
আরো পড়ুন:
হাতছাড়া হতে পারে সাইফের পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি
হামলাকারীকে নিয়ে সাইফের বাড়িতে পুলিশ
ইন্ডিয়া টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বলিউডের বেশ কজন বড় বড় তারকার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে রনিত রায়ের সিকিউরিটি এজেন্সি। এবার সাইফ আলী খানের বান্দ্রার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন এই অভিনেতা। এরই মধ্যে সাইফের বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছেন তিনি।
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। গতকাল বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাড়িতে ফিরেন সাইফ আলী খান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।