দীর্ঘ বিরতির পর গীতিকার মোস্তফা কামালের কথায় একের পর এক ধামাকা  নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সোনারগাঁয়ের ছেলে তরুন কন্ঠশিল্পী এস এম মিঠু । সর্বশেষ ঢং এর বিয়াইন শিরোনামের একটি গান দিয়ে প্রশংসার কুড়াচ্ছেন তিনি। 

নতুন গান এবং নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে  এস এম মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর  আমার ধামাকা কিছু নতুন গান আসছে । আশা করি, বরাবরের মতোই এবারের গানগুলো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। ইচ্ছে আছে গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ভালো ভালো গান উপহার দেওয়ার।ইতিমধ্যে বেশ কিছু গানের কাজ শেষ হয়েছে।

প্রতিটি গানের কথা ও সুর করেছেন গীতিকার মোস্তফা কামাল ভাই। সবসময় যারা ভালোবেসে আমার গানগুলোকে মনের গভীরে স্থান দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সকল প্রিয় মানুষদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, এভাবেই সবসময় আমাকে মনের মণিকোঠায় রাখবেন।’

এর আগে এস এম মিঠুর  উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘বেইমান মেয়ে’, ‘আহারে আমার কি ভাগ্য’, ভালোবাসার দিলি কবর'তুই আমারে বুঝলিনা বেইমান 'ভুলতে তোরে চাই' তোরে কত ভালোবাসি বেইমান, সব দোষেরই দোষী আমি, ঢং এর বিয়াইন ’সহ আরও কিছু গান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তৌহিদী জনতার হামলায় বাউল আবুল সরকারের ৩ ভক্ত আহত

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ধর্ম নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তি ও শাস্তির দাবিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। 

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৌহিদী জনতা ও আলেম-ওলামারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করলে একই সময়ে আবুল সরকারের ভক্তরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশে বাউল ভক্তদের উপর হামলা চালায় তৌহিদী জনতার একটি অংশ।

এ ঘটনায় আহত হন অন্তত তিনজন বাউল ভক্ত। তারা হলেন- শিবালয়ের সাঁকরাইল গ্রামের আব্দুল আলিম, হরিরামপুরের ঝিটকার জহুরুল এবং সিংগাইরের তালেবপুর এলাকার আরিফুল ইসলাম। 

হামলার সময় তৌহিদী জনতার পক্ষের মাওলানা আব্দুল আলীম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকও আহত হন। এছাড়া হামলার শিকার আরো কয়েকজন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ জানায়, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার আশঙ্কা থাকায় আগে থেকেই আলাদা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবুও বিক্ষোভ চলাকালে বিচ্ছিন্নভাবে বাউল ভক্তদের উপর হামলা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঘটনাস্থলের পাশেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”

এর আগে সকাল ৯টায় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা ডাকঘরের সামনে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে বেরিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে একটি অংশ বাউল ভক্তদের উপর হামলা চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক গানের আসরে ‘ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি’র অভিযোগে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

কারাগারে যাওয়া আবুল সরকার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের পারতিল্লী এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকায় বাউল শিল্পী ছোট আবুল সরকার নামে পরিচিত।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ