দীর্ঘ বিরতির পর গীতিকার মোস্তফা কামালের কথায় একের পর এক ধামাকা  নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সোনারগাঁয়ের ছেলে তরুন কন্ঠশিল্পী এস এম মিঠু । সর্বশেষ ঢং এর বিয়াইন শিরোনামের একটি গান দিয়ে প্রশংসার কুড়াচ্ছেন তিনি। 

নতুন গান এবং নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে  এস এম মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর  আমার ধামাকা কিছু নতুন গান আসছে । আশা করি, বরাবরের মতোই এবারের গানগুলো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। ইচ্ছে আছে গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ভালো ভালো গান উপহার দেওয়ার।ইতিমধ্যে বেশ কিছু গানের কাজ শেষ হয়েছে।

প্রতিটি গানের কথা ও সুর করেছেন গীতিকার মোস্তফা কামাল ভাই। সবসময় যারা ভালোবেসে আমার গানগুলোকে মনের গভীরে স্থান দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সকল প্রিয় মানুষদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, এভাবেই সবসময় আমাকে মনের মণিকোঠায় রাখবেন।’

এর আগে এস এম মিঠুর  উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘বেইমান মেয়ে’, ‘আহারে আমার কি ভাগ্য’, ভালোবাসার দিলি কবর'তুই আমারে বুঝলিনা বেইমান 'ভুলতে তোরে চাই' তোরে কত ভালোবাসি বেইমান, সব দোষেরই দোষী আমি, ঢং এর বিয়াইন ’সহ আরও কিছু গান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শততম টেস্টের মঞ্চে মুশফিকুরকে সম্মানজনক সংবর্ধনা

২৬০৭ তম টেস্ট চলছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের ১৫৬তম। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স ২৫ পেরিয়েছে। লম্বা পথ পেরোনোর পর বাংলাদেশ পেল টেস্ট ক্রিকেটের একশতম খেলোয়াড়। মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে পেলেন হানড্রেড টেস্ট খেলার সুযোগ। যে সুযোগটি তিনি পেয়েছেন অজস্র পরিশ্রম, নিবেদন, তাড়না দেখিয়ে। ২২ গজে পরিশ্রমের ফুল ফুটিয়ে, সততা ও নিষ্ঠার আলো ছড়িয়ে নিজেকে পাহাড়শৃঙ্গের শেপরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তার মাইলফলক ছোঁয়া দিনটি রাঙিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্মানজনক সংবর্ধনায় তাকে দিয়েছে বিরাট সম্মান। বিরাট এই দিনে মুশফিকুর পাশে পেয়েছেন তার বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানদের। ছুটে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এছাড়া বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তার প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, ২০০৫ সালে প্রথম টেস্টের সতীর্থরা ছিলেন মাঠে।

আরো পড়ুন:

মুশফিকুরের ‘সেঞ্চুরির’ রঙে রাঙানো ক্যানভাস

মুশফিকুরের শততম টেস্ট: যেসব আয়োজন রেখেছে বিসিবি

শুরুতে তাকে বিশেষ টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন হাবিবুল বাশার। যিনি ২০০৫ সালে লর্ডসে মুশফিকের হাতে প্রথম টেস্ট ক্যাপ তুলে দিয়েছিলেন। এরপর ক্যাপের বিশেষ কেসকেট প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার আকরাম খান। এরপর বিশেষ ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সঙ্গে ছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

এরপর হাবিবুল বাশার এবং বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি পেয়েছেন মুশফিকুর। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘‘আপনার মতো খেলতে চেয়েছি, ছোটবেলা থেকে আপনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি। আশা করি আপনি এভাবেই খেলে যাবেন। যেভাবে আপনি মাঠে ও মাঠের বাইরে সবসময় পরিশ্রম করেন। সবাই আপনার পরিশ্রম ও পাগলামির কথা বলে। কিন্তু আপনি সবসময় দলের জন্য খেলেন, দলের কথা ভাবেন- নিজের ক্রিকেট খেলেন না। এটা আমাদের জন্য সবসময় অনুপ্রাণার, বিশেষত যাঁরা তরুণ ক্রিকেটার টেস্ট খেলতে চায়, তাঁদের জন্য। আমাদের সঙ্গে খেলায় আপনাকে ধন্যবাদ, আমি আশা করি আপনি খেলা চালিয়ে যাবেন।’’

মুশফিকুর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়েছিলেন মেয়েকে কোলে নিয়ে। মুখে চওড়া হাসি, বুক ভরা গর্ব নিয়ে মুশফিকুর বলেছেন, ‘‘আল্লাহকে ধন্যবাদ এমন দারুণ একটা সুযোগের জন্য। যাঁরা উপস্থিত আছেন আপনাদের সবাইকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার পরিবারের সব সদস্য, বাবা–মাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিশেষত আমার স্ত্রীকে, যে অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। আমার সতীর্থ, কোচ, বন্ধু ও সব ভক্তদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। আমিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একশ ভাগ দেব, যেমনটা সবসময় চেষ্টা করি। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই এখানে আসার জন্য।’’

এরপর ফটোসেশনে অংশ নেন সবাই। ২০০৫ সালে লর্ডস টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে থাকা হাবিবুল, আনোয়ার হোসেন মনির, মোহাম্মদ রফিক, নাফিস ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল, খালেদ মাসুদ উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুরের ঐতিহাসিক মঞ্চে। গ্র‌্যান্ড স্ট‌্যান্ডে থাকা সমর্থকদের সঙ্গেও ছবি তোলেন। মুশফিকুরের এই মুহুর্তটা গ্র‌্যান্ড স্ট‌্যান্ডে থেকে উপভোগ করেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শততম টেস্টের মঞ্চে মুশফিকুরকে সম্মানজনক সংবর্ধনা