রাশিয়া কর্তৃক অপহৃত শিশুদের মধ্যে ১২ জনকে ফিরিয়ে এনেছে ইউক্রেন। সোমবার গভীর রাতে এই দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়েরমাক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া শিশুদের রাশিয়ার কবজা থেকে ছাড়িয়ে আনতে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ কারণেই ১২ শিশুকে উদ্ধার করা গেছে।
ইয়েরমাক বলেছেন, ফিরিয়ে আনা শিশুদের মধ্যে রয়েছে আট ও ১৬ বছর বয়সী দুই মেয়ে শিশু আর ১৭ বছর বয়সী এক টিনএজার, যাকে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য তলব করা হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। এএফপি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি গ্রেপ্তার
ইরানের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ইরানের নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন। নার্গিসের ভাই মেহদির বরাতে ‘নার্গিস ফাউন্ডেশন’ এ খবর জানিয়েছে।
প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন জানায়, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নার্গিস মোহাম্মদিকে গ্রেপ্তার করেছেন। আইনজীবী খোসরো আলিকোরদির স্মরণসভা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খোসরো ইরানের একজন সুপরিচিত আইনজীবী। সম্প্রতি নিজের কার্যালয় থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নার্গিসের স্বামী প্যারিসপ্রবাসী তাঘি রাহমানিও তাঁর স্ত্রীর গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ শহরে খোসরো আলিকোরদির স্মরণসভা থেকে নার্গিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের আরেকজন মানবাধিকারকর্মী সেপিদেহ বাহলিয়ানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
নার্গিস মোহাম্মদি ২০২৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। দুই দশকের বেশির ভাগ সময় তিনি তেহরানের এভিন কারাগারে কাটিয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তাবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে নার্গিসের মোট ৩১ বছর সাজা হয়েছে। মানবাধিকারের বিষয়ে কারাগারে থেকেও উচ্চকণ্ঠ ছিলেন নার্গিস। ২০২৪ সালের নভেম্বরে নার্গিসের অস্ত্রোপচার হয়। তাঁর ডান পায়ের নিচের অংশের একটি হাড় থেকে টিউমারসদৃশ ক্ষত অপসারণের জন্য ওই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা এটিকে ক্যানসার বলে আশঙ্কা করেছিলেন। অস্ত্রোপচারের পরের মাসে তাঁর সাজা তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, নার্গিসকে দ্রুত কারাগারে ফিরতে হবে। তবে তাঁকে আর কারাগারে যেতে হয়নি।