রাশিয়া কর্তৃক অপহৃত শিশুদের মধ্যে ১২ জনকে ফিরিয়ে এনেছে ইউক্রেন। সোমবার গভীর রাতে এই দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়েরমাক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া শিশুদের রাশিয়ার কবজা থেকে ছাড়িয়ে আনতে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ কারণেই ১২ শিশুকে উদ্ধার করা গেছে।
ইয়েরমাক বলেছেন, ফিরিয়ে আনা শিশুদের মধ্যে রয়েছে আট ও ১৬ বছর বয়সী দুই মেয়ে শিশু আর ১৭ বছর বয়সী এক টিনএজার, যাকে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য তলব করা হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। এএফপি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কালীগঞ্জে এইচএসসি ফলাফলে পাসের চেয়ে ফেল বেশি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল যেন শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
উপজেলার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৫৪ জন, আর অকৃতকার্য হয়েছে ৬৭৪ জন। অর্থাৎ পাসের চেয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি!
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই কলেজে ৩ শিক্ষার্থী, শতভাগ ফেল
এইচএসসিতে শতভাগ জিপিএ-৫ পেল মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
এই পরিসংখ্যান কালীগঞ্জের শিক্ষাঙ্গনে এক ধরনের হতাশার জন্ম দিয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের মতে, ফলাফলের এ চিত্র শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ, পাঠদানের মানহীনতা এবং শিক্ষা প্রশাসনের দুর্বল তদারকির স্পষ্ট প্রতিফলন।
তবে হতাশার মাঝেও সামান্য আশার আলো জ্বেলেছে কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থী। মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে জিপিএ–৫ অর্জন করেছে।
কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭৫ ও ফেল ১৭০, মানবিকে পাস ৯০ ও ফেল ২১৯, বিজ্ঞানে পাস ৫৬ জন। এ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ শিক্ষার্থী। মোট পাস ২২১ ও অকৃতকার্য ৪৩৬ জন।
জামালপুর কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭ জন ও ফেল ১৯ জন, মানবিকে পাস ২৩ জন ও ফেল ৫৮ জন, বিজ্ঞানে পাস ৪ জন ও ফেল ৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস ৩৪ ও অকৃতকার্য ৮২ জন।
আজমতপুর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৮ জন ও ফেল ৬ জন, মানবিকে পাস ১৬ জন ও ফেল ৩৩ জন । জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মোট পাস ২৪ জন ও অকৃতকার্য ৩৯ জন।
কালীগঞ্জ মহিলা কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ১২ জন ও ফেল ১ জন, মানবিকে পাস ৩০ জন ও ফেল ২৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মোট পাস ৪২ জন ও অকৃতকার্য ২৭ জন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৫ জন ও ফেল ৬ জন, মানবিকে পাস ১ জন ও ফেল ১৪ জন। মোট পাস ৬ জন ও অকৃতকার্য ২০ জন।
সেন্ট মেরিস গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৭৮ জন ও ফেল ১৩ জন, মানবিকে পাস ৬৫ জন ও ফেল ২৩ জন, বিজ্ঞানে পাস ৪৭ জন ও ফেল ৯ জন । এখানে জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৪ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস ১৯০ জন ও অকৃতকার্য ৪৫ জন।
সেন্ট নিকোলাস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজনেস স্টাডিজে পাস ৩৩ জন ও ফেল ১৯ জন, মানবিকে পাস ৪ জন ও ফেল ৬ জন। মোট পাস ৩৭ জন ও অকৃতকার্য ২৫ জন।
সব হতাশার মধ্যেও জিপিএ–৫ পাওয়া ১৯ জন শিক্ষার্থী দেখিয়েছে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্য অসম্ভব নয়। তবে এই ক্ষীণ সাফল্য কালীগঞ্জের সামগ্রিক শিক্ষা সংকট ঢাকতে পারছে না।
শিক্ষাবিদদের মতে, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি, মানসম্মত ক্লাসের অভাব, পর্যাপ্ত একাডেমিক পরিবেশের সংকট এবং প্রশাসনিক তদারকির দুর্বলতা—এসবই এ ফলাফলের পেছনে প্রধান কারণ।
ঢাকা/রফিক/মেহেদী