রাশিয়া কর্তৃক অপহৃত শিশুদের মধ্যে ১২ জনকে ফিরিয়ে এনেছে ইউক্রেন। সোমবার গভীর রাতে এই দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিই ইয়েরমাক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া শিশুদের রাশিয়ার কবজা থেকে ছাড়িয়ে আনতে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ কারণেই ১২ শিশুকে উদ্ধার করা গেছে।
ইয়েরমাক বলেছেন, ফিরিয়ে আনা শিশুদের মধ্যে রয়েছে আট ও ১৬ বছর বয়সী দুই মেয়ে শিশু আর ১৭ বছর বয়সী এক টিনএজার, যাকে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য তলব করা হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। এএফপি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম
পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।
এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।