SunBD 24:
2025-12-04@10:26:18 GMT

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Published: 4th, February 2025 GMT

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতারআগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কালফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিতরমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তানরিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানজেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়াররমজানে কম লাভ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারগুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.

৯৪ শতাংশ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের জটিল সমস্যা চারকোট আর্থ্রোপ্যাথি কেন হয়, চিকিৎসা কী

কেন হয়, লক্ষণ কী

দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু বিকল হওয়ার কারণে এটা হয়। ব্যথা কম অনুভূত হওয়ায় ছোট ছোট আঘাত টের না পেয়ে হতে পারে। আর হাঁটাচলায়
হাড়ে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে ক্ষুদ্র হাড়ের অংশে ধীরে ধীরে ভাঙন হয়। এ ছাড়া অ্যালকোহলিক নিউরোপ্যাথি, কুষ্ঠরোগ, সিফিলিস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির মতো কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রথম দিকে পা গরম, লাল ও ফুলে যায়। এ ধরনের সমস্যায় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ব্যথা প্রায় থাকে না। পা ঢিলে মনে হয় বা অনুভূতিশূন্য মনে হয়। পরে ধীরে ধীরে হাড় ভেঙে বিকৃতি দেখা দেয়। একে বলে রকার বটম ডিফরমিটি। পায়ের তলায় ক্যালাস বা ঘা থাকতে পারে। হাঁটাচলায় সমস্যা হতে থাকে।

আরও পড়ুনবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল, ধূমপান ছাড়লে প্রথম দিন থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শরীরে কী কী ঘটে১ ঘণ্টা আগেরোগনির্ণয় ও চিকিৎসা

পায়ের এক্স-রে বা এমআরআই করে রোগ নির্ণয় করা হয়। আক্রান্ত পায়ের তাপমাত্রা অপর পায়ের তুলনায় বেশি থাকে। রক্ত পরীক্ষায় সচরাচর সংক্রমণের মতো উচ্চ মার্কার থাকে না।

এ সমস্যার চিকিৎসার কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় টোটাল করটাক্ট কাস্ট ব্যবহার করা, যাতে আক্রান্ত পাটির কোনো ওজন না নিতে হয়। ওজন না নিয়ে চলাফেরার জন্য ক্রাচ বা হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হবে।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। ঘা থাকলে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসায় বিশেষ ধরনের জুতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজনও হতে পারে।

আরেকটি হলো ফিজিক্যাল মেডিসিন ও পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনা। এ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে কোনোভাবেই ওজন না নিতে হয় তেমন ব্যবস্থা করা, যাকে নন–ওয়েট বিয়ারিং বলা হয়ে থাকে। ক্রাচ/ওয়াকার ব্যবহার শেখানো হয়। পা উঁচু করে বিশ্রাম নেওয়া।

অ্যাংকেল আইসোমেট্রিক, হিপ নি স্ট্রেংথ, কোর এক্সারসাইজের মতো ব্যায়াম করতে হবে। খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। পরবর্তী পর্যায়ে ধীরে ধীরে ওজন নিতে হবে। হাঁটার প্রশিক্ষণ, পায়ের শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম, ভারসাম্য রক্ষার প্রশিক্ষণ ও প্রতিদিন পায়ের তলা পর্যবেক্ষণ করার মতো কাজগুলো করতে হবে।

আরও পড়ুননিজের ভালোর জন্য নিজেকে যে ৭টি প্রশ্ন করতেই হবে৫ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনে করণীয়

সহায়ক জুতা ব্যবহার করতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীরা খালি পায়ে কখনো হাঁটবেন না। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে। সিঁড়ি যতটা পারা যায় কম ব্যবহার করবেন। ভারী জিনিস তোলা যাবে না।

রান্না/কাপড় ধোয়ার কাজ বসে করতে হবে। প্রতিদিন আয়নায় পায়ের তলা পর্যবেক্ষণ করুন। সঠিক পুনর্বাসনের জন্য ফিজিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুনএকটি সূত্রই বদলে দিয়েছিল স্টিভ জবসের পুরো কর্মজীবন, কী সেটা৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ