কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামলাপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায়।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদ জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে টেকনাফে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি মামলার আসামিও তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, মামলা দায়েরের পরও পুলিশ চেয়ারম্যান আমজাদকে এতদিন গ্রেপ্তার করেনি। স্থানীয় কিছু বিএনপির লোকজনও তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই তিনি প্রকাশ্যে ঘুরেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

গিয়াস উদ্দীন বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারিনি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত, চোখ বাঁধা অবস্থায় ভ্যানচালক উদ্ধার

ফরিদপুরের সালথায় দুর্বৃত্তদের হামলায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর সঙ্গে থাকা ভ্যানচালককে চোখ বেঁধে একটি সেতুর সঙ্গে বেঁধে রাখে। আজ শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা সেতুসংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সকাল নয়টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

নিহত উৎপল সরকার ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে।

সালথা থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্লাকে। তাঁর চোখ বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে ভোররাতে কী ঘটেছিল, তা খুলে বলেন ভ্যানচালক ফিরোজ।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা কাজী শাহীন বলেন, নিহত উৎপল সরকার মাছ ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় তিন–চারজন ডাকাত দেশি অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। পরে উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম মারুফ হাসান বলেন, দু–তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটিকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ