কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামলাপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায়।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদ জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে টেকনাফে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি মামলার আসামিও তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, মামলা দায়েরের পরও পুলিশ চেয়ারম্যান আমজাদকে এতদিন গ্রেপ্তার করেনি। স্থানীয় কিছু বিএনপির লোকজনও তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই তিনি প্রকাশ্যে ঘুরেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

গিয়াস উদ্দীন বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারিনি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণ করুক

বাংলাদেশ স্কুল মাসকাটের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন গত ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবকদের ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছেন পাঁচজন। নতুন কমিটির কাছে অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনেক।

বাংলাদেশি কমিউনিটির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আমিন আহমেদ চৌধুরীর (বীর বিক্রম) পৃষ্ঠপোষকতা ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সহযোগিতা ও রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানে ও ওমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট। ১৯৯৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ওই বছরের ৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। ব্রিটিশ নাগরিক রবার্ট কুসওয়ার্থকে প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল। ওমান সালতানাতের কমিউনিটি স্কুলগুলোর নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন ভবন তৈরি করতে প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা ১০ বছর অনুদান দেন বাংলাদেশ দূতাবাসকে। প্রতিটি পাসপোর্ট সেবা থেকে ৫ রিয়াল করে প্রবাসীরা দুবার ১০ রিয়াল অনুদান করেন। ১০ বছর দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা থেকে শতাংশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের কাছ থেকে এ অর্থ নেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন মরহুম আমিন আহমেদ চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির ও বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আমিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে উঠে স্কুলটি।

প্রথম অধ্যক্ষ রবার্ট কুসওয়ার্থ। এরপর গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) হাজী মহিউদ্দিন আলমগীর, চিকিৎসক এস এ এস বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কায়সার আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নুরুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) মাহমুদ উল আলম, মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ), ফারজানা করিম, জেমস এডওয়ার্ড হানিবল, সামন্তি আথালগে (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ও রিয়ার এডমিরাল (অব.) প্রদীপ রত্ননায়েক অধ্যক্ষ হন। তিনি ২০২৫ সালের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশি অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ।

বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত নাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ