সমুদ্রের গভীরেও আছে রহস্যময় এক জগৎ। আর তাই তো দীর্ঘদিন ধরেই সমুদ্রের গভীরে থাকা নানা ধরনের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু সমুদ্রে ডুব দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কি সব রহস্য জানা সম্ভব? মোটেও তা নয়। এ সমস্যা সমাধানে এবার সমুদ্রের গভীরে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্যের ‘ডিপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ডিপের তথ্যমতে, নতুন এ পরিকল্পনার আওতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ২০০ মিটার নিচে মানুষের বসবাসের জন্য একটি স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করা হবে। মহাকাশে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) আদলে দীর্ঘদিন বসবাসের উপযোগী করে তৈরি করা হবে ঘাঁটিটি। প্রাথমিকভাবে ছয়জন ব্যক্তি ঘাঁটিটিতে বসবাস করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যে এই ঘাঁটিতে মানুষ বসবাস শুরু করবে।

আরও পড়ুনপৃথিবীর গভীরে হিমালয়ের চেয়ে শত গুণ বড় দুটি পর্বতের খোঁজ মিলেছে২৫ জানুয়ারি ২০২৫

সমুদ্রের গভীরে ঘাঁটি তৈরির বিষয়ে ডিপের প্রেসিডেন্ট স্টিভ ইথারটন জানিয়েছেন, ‘এটা কোনো পণ্য নয়, আমরা আসলে একটি সিস্টেম তৈরি করতে যাচ্ছি। আমরা পানির নিচে বসবাসের জন্য আবাসস্থল ও পরবর্তী প্রজন্মের পোশাক তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ করছি। সমুদ্রের গভীরে কী আছে তা বোঝার জন্য এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা অনেকটা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আদলে কাজ করব।’

দুই বছর ধরে ইউরোপের সর্ববৃহৎ থ্রিডি প্রিন্টিং মেশিনের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরে স্থাপন উপযোগী ঘাঁটির নকশা তৈরি করা হয়েছে। এই ঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেন্টিনেল’। সমুদ্রের মহাদেশীয় ঢাল ও সূর্যের আলো পৌঁছানোর এপিপেলাজিক অঞ্চলে স্থাপন করা হবে এই ঘাঁটি।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য বসব স

এছাড়াও পড়ুন:

সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন এস এম আলী

সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম আলী (সৈয়দ মোহাম্মদ আলী)। প্রতিভা ও দক্ষতার কারণেই তিনি এমনটা হতে পেরেছিলেন। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য কাজ করে গেছেন।

ডেইলি স্টারের উদ্যোগে ‘এস এম আলীর সাংবাদিকতা ও বিশ্ববীক্ষা’ শীর্ষক ‘ইতিহাস আড্ডা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এ অনুষ্ঠান হয়। প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত সাংবাদিক এস এম আলীর জন্মদিন ছিল গতকাল ৫ ডিসেম্বর।

বক্তব্য দিতে গিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাংবাদিক হিসেবে এস এম আলীর বিশ্বখ্যাতি ছিল, বিশেষ করে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায়। তিনি ব্যাংকক পোস্ট ও দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ডের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন। আরও কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন। সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব এস এম আলী ছাড়া আর কেউ নেই। থাকলেও তিনি (মাহফুজ আনাম) হয়তো জানেন না। নিশ্চয়ই এস এম আলীর এমন প্রতিভা-দক্ষতা ছিল বলেই ব্যাংকক পোস্ট ও হংকং স্ট্যান্ডার্ডের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছিলেন।

এস এম আলীর শেষ ও শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ, অর্থাৎ ডেইলি স্টার প্রতিষ্ঠায় তাঁর সহযোগী হওয়ার জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করেন মাহফুজ আনাম। এ সময় তিনি এস এম আলীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।

বিশেষ আলোচক ছিলেন নিউ এজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর। তিনিও এস এম আলী সঙ্গে কাজ করেছেন। নূরুল কবীর বলেন, এস এম আলী সচেতনভাবেই সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন। এটা তাঁর জীবনের সচেতন সিদ্ধান্ত। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছিলেন। সাধারণত ওই সময়ে যাঁরা ইংরেজি, অর্থনীতি, ইতিহাসে পড়তেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ভালো ছাত্রছাত্রী ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) হতেন। এস এম আলীর পক্ষে পাকিস্তানের বড় কর্মকর্তা হওয়া কোনো দুঃসাধ্য ছিল না।

নূরুল কবীর বলেন, সাংবাদিকতাকে ফলপ্রসূ করতে এস এম আলী মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য কাজ করে গেছেন। এ বিষয়ে নিজের একটি কলামের প্রসঙ্গ টেনে নূরুল কবীর বলেন, সেই লেখার সঙ্গে তিনি একমত না হলেও ছাপতে দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান ও ডেইলি স্টারের যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমিন। তাঁরা সবাই এস এম আলীর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাইসা বিনতে কামাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেইলি স্টারের সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ