লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিনের পরিত্যক্ত বাড়ি এক্সকাভেটর(খনন যন্ত্র) ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি প্লাজা নামের বাড়িটি ভাঙচুর করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সালাহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক আলোচিত মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে। শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা ওই বাড়িতে আগুন দেন। ওই দিন সালাহ উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের লোকজন লক্ষ্মীপুর শহর থেকে পালিয়ে যান। এর পর থেকে চারতলা বাড়িটি পরিত্যক্ত। সালাহ উদ্দিন সাদ আল আফনান, সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। একপর্যায়ে প্রথমে ভবনের বাইরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির দেয়াল, জানালাসহ বিভিন্ন কাঠামো হাতুড়ি ও লোহার শাবল দিয়ে ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। ভাঙচুরের একপর্যায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়িটিতে। এরপর এক্সেকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান ও সজীব হোসেন জানান, তাহের ও টিপু বাহিনীর লোকেদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এলাকার মানুষ। এসব কারণে তাঁদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা-ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা-ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যতেও যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদী আচরণ করে, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আবদুল মোন্নাফ বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরে জাল ফেলে তিন মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তিন মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে মাছ ধরার জাল ফেলে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুরা গতকাল বিকেলে শাক তোলার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শাক তোলার একপর্যায়ে পুকুরে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশুরা হলো বাহারছড়া গ্রামের মনজুর আলমের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (১০), ইউসুফ নবীর মেয়ে রিয়া মনি (৯) ও জাফর আলমের মেয়ে তসলিমা বেগম (৮)। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মসিউর রহমান তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন শিশু ঘরে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে পুকুরে জাল ফেলা হয়। রাত আটটার দিকে জালে প্রথমে মরিয়মের লাশ উঠে আসে। এরপর জাল ফেলে রিয়া মনি ও তসলিমার লাশ পাওয়া যায়।

নিহত মরিয়মের বাবা মনজুর আলম বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে মরিয়ম, রিয়া মনি ও তসলিমা একসঙ্গে বাড়ির নিকটবর্তী হাঙর খালের পাশে একটি পুকুরে শাক তুলতে গিয়েছিল। সম্ভবত বেখেয়ালে শিশুরা পুকুরের পানিতে ডুবে গেছে। তাদের কেউ সাঁতার জানত না। ইটভাটার জন্য মাটি কাটার কারণে পুকুরটি সৃষ্টি হয়েছে। পুকুরে পানির গভীরতা অনেক বেশি ছিল।

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ প্রথম আলোকে বলেন, পরিত্যক্ত পুকুরে শাক তুলতে গিয়ে তিনটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে বাধা, প্রতিবাদের পর ফটক খুলল পুলিশ
  • পুকুরে জাল ফেলে তিন মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার