বিদেশি এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধ্যাপক এম হারুন-অর-রশিদকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রভাবশালী এই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-সমর্থিত সোনালী দলের বর্তমান সভাপতি।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাপন শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো.

নাজমুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
 
এতে বলা হয়েছে, কৃ‌ষি অর্থনী‌তি বিভা‌গের অধ‌্যাপক হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ান ছাত্রী প্রিসিলা প্রিয়ঙ্কার ওপর যৌন নিপিড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।  

রেজিস্ট্রারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৪ অক্টোবর সিন্ডিকেটের জরুরি অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তানুসারে তার অনুকূলে পাঠানো চার্জশিটের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ৩০ ডি‌সেম্বর সিন্ডিকেটের ৩২৭তম অধিবেশনে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাকৃ‌বি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) আচরণবিধির ৪ (১) (এফ) ধারা অনুযায়ী বাকৃ‌বি থেকে অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই আদেশ ১৩ ফেব্রুয়া‌রি (ইস্যুর তারিখ) থেকে কার্যকর হবে।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক হারুনকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছিল বাকৃবি প্রশাসন। 

ঢাকা/লিখন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ