মামুন রশিদ ন্যাশনাল টির নতুন চেয়ারম্যান
Published: 18th, February 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানি বা এনটিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ৬৮৩তম সভায় পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তিনি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এনটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত মামুন রশিদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৭ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন মামুন রশীদ। এনটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাংকিং, বাণিজ্য ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনায় তাঁর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কোম্পানির বাজার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মামুন রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপআপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পিডব্লিউসি বাংলাদেশ, সিটিব্যাংক এনএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহায়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মামুন রশিদ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।
সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।