স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের সঙ্গে সেলফি তুলে হোয়াটসঅ্যাপ দিলেন স্ট্যাটাস
Published: 1st, December 2025 GMT
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটোরে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এর পর মরদেহের সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস হিসেবে আপলোড করেছেন।
গতকাল রোববার কোয়েম্বাটোরের একটি মহিলা হোস্টেলে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বালামুরুগান (৩২)। তিনি স্ত্রী শ্রীপ্রিয়া (২৮) ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিরুনেলভেলির নিজ বাড়িতে থাকতেন।
কয়েক মাস আগে শ্রীপ্রিয়া দাম্পত্য কলহের কারণে বালামুরুগানের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান। তিনি কোয়েম্বাটোরে গিয়ে একটি মহিলা হোস্টেলে ওঠেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে স্ত্রী শ্রীপ্রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ওই হোস্টেলে যান বালামুরুগান। এ সময় তাঁর জামার নিচে একটি কাস্তে লুকানো ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, দেখা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই দুজনের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বালামুরুগান কাস্তে বের করে শ্রীপ্রিয়াকে হোস্টেলের মধ্যেই কুপিয়ে হত্যা করেন।
শ্রীপ্রিয়াকে হত্যার পর তাঁর মরদেহের সঙ্গে একটি সেলফি তোলেন বালামুরুগান। সেটি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আপলোড করেন। বালামুরুগানের দাবি, শ্রীপ্রিয়া তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এ ঘটনার সময় হোস্টেলের অন্য নারীরা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বালামুরুগান ঘটনাস্থলেই অপেক্ষা করেন এবং পুলিশ আসার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত কাস্তে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বালামুরুগান সন্দেহ করতেন যে তাঁর স্ত্রী অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
এই হত্যাকাণ্ড তামিলনাড়ুতে নারীর সুরক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নারীদের সুরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।
যদিও সরকার ও রাজ্য পুলিশ দাবি করেছে যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ধরনের সব ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সতর্কতা পাঠিয়েছে ওপেনএআই, কেন
তৃতীয় পক্ষের বিশ্লেষণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মিক্সপ্যানেলের সিস্টেমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনা শনাক্তের পর চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ওপেনএআই। আকস্মিক এই সতর্কবার্তা পাওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করে ওপেনএআই জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য খুবই সীমিত এবং এগুলোতে ব্যবহারকারীদের চ্যাটের ইতিহাস, পাসওয়ার্ড, এপিআই কি, আর্থিক তথ্য, পরিচয়পত্রের মতো সংবেদনশীল তথ্য নেই। ফলে সাধারণ চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ওপেনএআইয়ের তথ্য মতে, গত ৯ নভেম্বর মিক্সপ্যানেলের অবকাঠামো ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির একটি সিস্টেমের কিছু বিশ্লেষণমূলক তথ্য ফাঁস হয়েছে। পরে ২৫ নভেম্বর মিক্সপ্যানেল তথ্যগুলো ওপেনএআইকে সরবরাহ করে। তথ্য ফাঁসের বিষয়টি জানার পর ওপেনএআই ধাপে ধাপে ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এপিআই ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদাভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
তথ্য ফাঁসের এ ঘটনায় সাধারণ চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছে ওপেনএআই। ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো মূলত ওপেনএআইয়ে মিক্সপ্যানেলের তৈরি এপিআই ব্যবহার করা ডেভেলপার, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার। এসব তথ্যের মধ্যে ছিল ব্যবহারকারীর নাম, ই–মেইল ঠিকানা, অবস্থানের তথ্য, ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম ও ব্রাউজারের ধরন এবং এপিআই সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের শনাক্তকারী নম্বর। আর তাই ঘটনার পর মিক্সপ্যানেলে সব সেবা চ্যাটজিপিটি থেকে বাদ দিয়েছে ওপেনএআই।
চ্যাটজিপিটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এপিআই ব্যবহারকারীদের সন্দেহজনক ই–মেইল বা বার্তা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে ওপেনএআই। এ ছাড়া ওপেনএআইয়ের নামে পাঠানো যেকোনো বার্তার উৎস যাচাইয়ের পাশাপাশি অপরিচিত লিংকে প্রবেশ না করা, কোনো অবস্থাতেই সংবেদনশীল তথ্য ই–মেইল বা বার্তার মাধ্যমে শেয়ার না করা পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে