নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় একটি সেতুর নিচ থেকে কাদামাখা অবস্থায় এক নারীর (৫৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খামারের চর সেতুর নিচ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই নারী রায়পুরার বাসিন্দা। স্বজনদের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রায় ২০ বছর ধরে বাড়িতে না থেকে পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন।

পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে ওই নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁর শরীরে কোনো কাপড়চোপড় ছিল না এবং কাদামাখা ছিল। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই নারীকে শনাক্ত করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। পরে তাঁর ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ওই নারীর ভাইয়ের ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই তাঁর বোন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। প্রায় ২০ বছর ধরে বাড়িতে থাকতেন না, পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন। তাঁর মৃগীরোগ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাদাপানিতে নেমে তাঁর বোন মৃগীরোগে আক্রান্ত হন। এরপর আর ওপরে উঠে আসতে পারেননি।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ওই নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি। প্রাথমিকভাবে তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ নেই। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে আতঙ্ক নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে কোনো আতঙ্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক। সড়কে কোনো আতঙ্ক নেই। তবে ছোটখাটো দু-একটা ঘটনা ঘটছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বরিশাল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ কিছুটা কঠিন জায়গা। তবে ওই সব জেলায় এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু করাত দিয়ে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বড় গাছ হওয়ায় সরাতে সময় লাগে। মহাসড়ক থেকে সরাতে সময় লাগছে। রায়কে ঘিরে কেউ কেউ ককটেল ফাটাচ্ছে। যারা ফাটাচ্ছে তারা ধরা পড়ছে।

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলা দরকার যে তোমরা স্কুল–কলেজে পড়াশোনা করো। এটা দেখার জন্য আমরা আছি। আমরা দেখব।’ উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকে উসকে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা সদস্য পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইল উপদেষ্টা বলেন, ‘দরকার পড়লে ভারতকে আমরা আবার চিঠি দেব।’

মানুষ, পুলিশ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী যে নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আত্মরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিজে বিপদে থাকলে গুলি পরিচালনা করার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ