ফরিদপুরে চোরের রডের আঘাতে প্রবাসীর মৃত্যু
Published: 6th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কোনা গ্রামে গভীর রাতে চোরের রডের আঘাতে জামাল মাতুব্বর (৫৫) নামে একজন প্রবাসী মারা গেছেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত জামাল মাতুব্বর কোনা গ্রামের হাতেম মাতুব্বরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, প্রবাসী জামাল মাতুব্বর মালয়েশিয়া ৩০ বছর ছিলেন। গত এক মাস আগে বাড়িতে আসেন এরপর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার বসত ঘরে চুরি করার উদ্দেশ্যে একদল চোর শুক্রবার গভীর রাতে জানালার লক কেটে ঘরে ঢুকে। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে জামাল মাতুব্বরের গোপনাঙ্গে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী বলেন, “চোর চক্রের সদস্যরা ঘরে ঢুকলে সম্ভবত তাদের চিনে ফেলার কারণে এ ঘটনা ঘটায়। এখনো পরিবারের লোকজন কোন প্রকার অভিযোগ করেনি। আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
ঢাকা/তামিম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ম ল ম ত ব বর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ডাকাত দলের ১৩ সদস্য গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জেলার রাজৈর থানায় সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লায় ডাকাত সর্দার দুলালসহ ১৩ সদস্য গ্রেপ্তার
উদ্ধার হওয়া পিকআপটির মালিক খুলনার রুপসা উপজেলার শিরগাতি গ্রামের সরদার জাহাঙ্গীর আলম (৬২)। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় ফলের ব্যবসা করেন।
গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাটরা গ্রামের শাহ আলম শেখ (৪০), একই উপজেলার পরারন গ্রামের কবির চোকদার (৪৫), সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুরের জাকির খাঁ (৫০), ভাঙ্গার কাউলীবেড়া গ্রামের ইকরাম আলী মুন্সী (৩৫), পাতরাইল গ্রামের হৃদয় বয়াতি (২৩), নগরকান্দা উপজেলার মীরাকান্দা গ্রামের সুমন হোসেন মাতুব্বর (২৬), ঢাকার কেরানীগঞ্জের পুরান পাঁচদোনা আল আমিন (৪৫), কেরানীগঞ্জের ঘাটার চর এলাকার হাবিব (২৫), নগরকান্দার ছোট নাওডোবার ইকবাল হোসেন (৩৬), মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শংকরদী গ্রামের সুজন মাতুব্বর (২৭), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুশ্বা গ্রামের সোহাগ ওরফে নোবেল (২৬), একই উপজেলার সাইটুটা গ্রামের ডালিম সরকার (৩০) ও স্বপন (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুলনার তেরখাদা থেকে তরমুজ নিয়ে মাদারীপুরের মস্তফাপুর ফলের আড়ৎয়ে যাচ্ছিল একটি পিকআপ। পথিমধ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ব্রিজ এলাকার গঙ্গাবর্দী স্থানে আসলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর থেকে চালক-হেলপারকে মারধর করে তরমুজ ভর্তি পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
ওইদিন রাতেই রাজৈর থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে রাজৈর থানা পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভাঙ্গা, সদরপুর, নগরকান্দা, কেরানিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরো ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে আবার অভিযান চালিয়ে আরো পাঁচজনসহ ডাকাত দলের মোট ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ডাকাতি করা পিকআপটি উদ্ধার করা হয়। পরে রাজৈর থানা থেকে পিকআপ মালিককে খবর দেওয়া হয়।
পিকআপ মালিক ও ফল ব্যবসায়ী সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার ডাকাতি হওয়া পিকআপটি রাজৈর থানার পুলিশ অনেক কষ্ট করে উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে ডাকাত দলও গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি রাজৈর থানা পুলিশের জন্য দোয়া করি এবং তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গ্রেপ্তার ডাকাতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।”
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, “আমগ্রাম থেকে তরমুজ ভর্তি পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ধাপে ধাপে এ পর্যন্ত মোট ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পিকআপটিও উদ্ধার করেছি।”
তিনি বলেন, “এরা মুলত মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এর আগে আটজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি এবং আজ আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “ডাকাতি করা তরমুজগুলো ঢাকার যাত্রাবাড়ী নিয়ে বিক্রি করে দেয় ডাকাতরা। এরপর গাজীপুরের জয়দেবপুরে নিয়ে পিকআপটি লুকিয়ে রাখে।”
ঢাকা/বেলাল/মেহেদী