নরসিংদীতে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ গেল মায়ের!
Published: 4th, May 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন শামসুন্নাহার (৭০) নামে একজন মা। অভিযুক্ত ছেলের নাম জাবের হোসেন (২৮)। তাকেও আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৪ মে) সকালে শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের নিজ ঘর থেকে পুলিশ মা শামসুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করে । এর আগে শনিবার (৩ মে) দিবাগত রাতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শামসুন্নাহার বৈলাব গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মৃত নূরুল হক মাস্টারের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মৃত নূরুল হক মাস্টারের ২য় স্ত্রীর ছোট ছেলে জাবের হোসেন মাদকসেবী, বড় ভাই প্রবাসী। বাড়িতে শুধু মা ও ছেলে থাকতেন। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই জাবের মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। শনিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় মাদকের টাকা না দেওয়ায় জাবের মাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন জানান, মাদকাসক্ত জাবের ঘরের ভিতরে তার মাকে দরজার হাতলে আটকে হত্যা করে। হত্যার পর সারারাত একই রুমে অবস্থান করছিলেন জাবের। মৃত মায়ের একটি হাত ভাঙাসহ মাথায় জখমের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকাল ৯ টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/হৃদয়/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ইরানের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশে ইরাকে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সাদর সিটিকে শুক্রবার (১৭ জুন) জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে। ইরানের ওপর চলমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে তারা। অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে।
সাদর সিটিকে ‘বিপ্লবের নগরী’ নামেও ডাকা হয। এটি মূলত বাগদাদের একটি উপশহর। এই এলাকার জনসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি, যার বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম।
এলাকাটি শিয়া জনপ্রিয় ধর্মীয় ও মিলিশিয়া নেতা মোকতাদা আল-সাদরের নামেই পরিচিত, যিনি ইরানের শাসক ধর্মীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন:
যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পকে যুদ্ধে নামাতে চান নেতানিয়াহু: লেভি
যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমান ভরে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে
এই জমায়েত ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর প্রতিবাদ শুধু ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা আঞ্চলিক মাত্রা লাভ করেছে, বিশেষ করে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে।
১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। অথচ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অথচ এই অভিযোগে ইরানের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অথচ তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।
ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ঢাকা/রাসেল