দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিটিআই ল্যান্ডমার্কে অনুষ্ঠিত বিটিআই সামার সেলস কার্নিভালে এমন মত দেন তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিটিআই।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.

আহসান এইচ মানসুর, ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ই কে আর্কিটেকটসের স্থপতি এহসান খান, নকশাবিদের স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার, প্র্যাক্সিস আর্কিটেকসের স্থপতি নাজলি হুসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল নানা দিক নির্দেশনা। এ সময় বিটিআই ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে একইসঙ্গে ২০টি নতুন আবাসিক প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। অত্যাধুনিক নকশা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসা এই প্রকল্পগুলো আবাসন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআই সামার সেলস কার্নিভাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে। সামার সেলস কার্নিভালে বিটিআইর নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পে স্পেশাল অফার, তাৎক্ষনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসাল্টেন্সি, সেকেন্ডারি প্রপার্টি কেনাবেচা কিংবা ভাড়ার জন্যে প্ল্যাটফর্ম, এবং ‘হোম অ্যান্ড ডেকোর’ প্রডাক্টের উপর ছাড়ের সুযোগ পেয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

অনুষ্ঠানে আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ, আর্কিটেকচারাল ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ আর ক ট ব ট আই

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার অনুমতি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুটি নৌযানে অবৈধভাবে ড্রোন হামলা চালাতে সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন। গত মাসের শুরুতে এ ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ওই দুটি নৌযান তিউনিসিয়ায় নোঙর করা ছিল। এ বিষয়ে অবগত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এমন খবর দিয়েছে।

প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাঁরা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন উড়িয়ে তিউনিসিয়ার সিদি বো সাঈদ বন্দরের বাইরে নোঙর করা নৌযানগুলোতে দাহ্য সরঞ্জাম ফেলে। এতে সেগুলোতে আগুন ধরে যায়।

আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ৪ অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল১৪ ঘণ্টা আগে

গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর একটি পর্তুগিজ পতাকাবাহী নৌযান এবং একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌযানকে আলাদা করে নিশানা করা হয়েছিল। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও সশস্ত্র সংঘাত সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, যেকোনো পরিস্থিতিতেই বেসামরিক মানুষ বা বেসামরিক স্থাপনার ওপর দাহ্য সরঞ্জাম দিয়ে হামলা নিষিদ্ধ।নেতানিয়াহু এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরটি গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এসব নৌযানে প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন।

গত বুধবার গাজার জলসীমায় প্রবেশের আগেই নৌবহর বা ফ্লোটিলাতে হানা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই দিনই কিছু নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। পরের দিন একটি ছাড়া অন্য সব নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার সর্বশেষে নৌযান ম্যারিনেটও আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ