আবাসন খাতে বিনিয়োগ ও অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে বিটিআই’র আলোচনা
Published: 5th, May 2025 GMT
দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিটিআই ল্যান্ডমার্কে অনুষ্ঠিত বিটিআই সামার সেলস কার্নিভালে এমন মত দেন তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিটিআই।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.
অনুষ্ঠানে আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল নানা দিক নির্দেশনা। এ সময় বিটিআই ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে একইসঙ্গে ২০টি নতুন আবাসিক প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। অত্যাধুনিক নকশা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসা এই প্রকল্পগুলো আবাসন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআই সামার সেলস কার্নিভাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে। সামার সেলস কার্নিভালে বিটিআইর নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পে স্পেশাল অফার, তাৎক্ষনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসাল্টেন্সি, সেকেন্ডারি প্রপার্টি কেনাবেচা কিংবা ভাড়ার জন্যে প্ল্যাটফর্ম, এবং ‘হোম অ্যান্ড ডেকোর’ প্রডাক্টের উপর ছাড়ের সুযোগ পেয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানে আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ, আর্কিটেকচারাল ধারণা, ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ আর ক ট ব ট আই
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ‘ইফ’ এবং ‘বাটস’ রেখেছে সরকার: সিপিবি সভাপতি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বলেছেন, “তারেক জিয়ার সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপির সুর কিছুটা বদলেছে। তারা বলছে, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে চায়-এতে তাদের আপত্তি নেই। তবে, এই তারিখ নিয়েও সরকার ‘ইফ’ এবং ‘বাটস’ দিয়ে রেখেছে। খোলাসা করে এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। আমরা মনে করি, এই গিভ অ্যান্ড টেকের লন্ডন মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও সঙ্কট দেখা দেবে।”
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের একরামপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে বামপন্থী এ রাজনৈতিক দলটির জেলা শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটি তিন শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
শাহ আলম বলেন, “দেশকে বিপদমুক্ত এবং মানুষকে ভীতিমুক্ত করতে হলে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। জাতি দ্রুত দেশে জাতীয় নির্বাচন চায়। এটা না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না, জানমালের নিরাপত্তা আসবে না এবং অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। যা এখনই আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই উপদেষ্টা সরকারের একটাই দায়িত্ব; সেটা হলো নির্বাচন দেওয়া। নূন্যতম নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার শেষে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু তারা টার্নিমাল-বন্দর-করিডোরের মতো সংবেদনশীল এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের এজেন্ডা দেখে সন্দেহ বাড়ছে। নতুন নতুন এজেন্ডা নিয়ে আসছেন তারা। এগুলো চলতে থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব শেষ হয়ে যাবে। দেশটাও শেষ করে দেবে। আমাদের কাঙ্খিত নির্বাচনটাও হবে না। এসব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।”
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনেকে বলছে, এটি বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। যে যেভাবে পারছেন নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন, বিভিন্ন নামে ডাকছেন। আমরা মনে করি, এটি বিপ্লবও না বা দ্বিতীয় স্বাধীনতাও না। এটি স্বৈরাচারবিরোধী একটা লড়াই হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে যে স্বৈরাচারী সরকার ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল; ছাত্র-শ্রমিক-জনতা তার বিরুদ্ধে লড়াই করে নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তৈরি করেছে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব।”
বর্তমান ইউনূস সরকারের মূল্যায়ন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিপিবি সভাপতি বলেন, “তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মব সন্ত্রাস চলছে। শুধু চলছে না, এগুলো চালাতে দেওয়া হচ্ছে। সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। এসব কারণে দেশে বিনিয়োগ আসছে না। বারবার নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়।”
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা অপরাধে জড়িত, তাদের ন্যায়সঙ্গত বিচার হওয়া দরকার। তবে দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমরা নই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদেরকে তো সরকার নানাভাবে সুযোগ ও অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন করছে।”
এর আগে জেলা সিপিবির সধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিপিবির সভাপতি আবদুর রহমান রুমী। বক্তব্য দেন- জেলা কৃষক সমিতির
সভাপতি এনামুল হক ইদ্রিস, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ সরকার, সিপিবি নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এনামুল হক, আবুল হাশেম, মোস্তফা কামাল নান্দু, সেলিম উদ্দিন খান ও ফরিদ আহমেদ।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ