Samakal:
2025-11-17@12:21:30 GMT

বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

Published: 9th, May 2025 GMT

বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

বরগুনার তালতলীতে আন্ধারমানিক নদীর তীরে গড়ে ওঠা বনাঞ্চলের গাছ কেটে মাছের ঘের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বনের জমিতে এসব ঘের নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। 
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত আন্ধারমানিকের তীরঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে ছইলা, কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে বন বিভাগ। এসব গাছ বড় হয়ে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পরিচিতি লাভ করেছে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী হিসেবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আন্ধারমানিক নদীতীরবর্তী শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রামে বনাঞ্চলের কয়েকশ চারা গাছ কেটে ও খননযন্ত্র দিয়ে উপড়ে ফেলে মাছের ঘের করেছেন বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধা। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই। ঘেরের পাড়ঘেঁষে পড়ে আছে ছোট-বড় নানা প্রজাতির গাছ। স্থানীয়রা জানান, বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজশে এভাবে প্রতিদিনই বনাঞ্চলের গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বনাঞ্চলের পরিধি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এই বনের জন্য ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে তাদের গ্রামসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা রক্ষা পেয়ে আসছে। গ্রামের বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধার মতো প্রভাবশালীরা যেভাবে বনের জমি দখল করে ঘের করছেন তাতে আগামী দিনে বনের অস্তিত্ব থাকবে না। এই বন ধ্বংস হলে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে দুই ইউনিয়নের (বড় বগী ও শারিকখালী) মানুষ রক্ষা পাবে না। 
বনাঞ্চলের গাছ কাটার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধা জানান, এটি তাদের বাড়ির সামনে সরকারি খাসজমি। ওই জমি বন্দোবস্ত নিয়ে তারা চিংড়ির ঘের খনন করেছেন। বন বিভাগের লোকজন বিষয়টি দেখে গেছেন। 
ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) উপজেলা সমন্বয়ক পরিবেশকর্মী আরিফ রহমান বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস ও দখল করছে একশ্রেণির ভূমিদস্যু। এ ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করা উচিত। 
শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, বনের জমি দখল করে ঘের করার বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, কাউকে বনাঞ্চলের জমি বন্দোবস্ত দেননি তারা। বিষয়টি নজরে আসার পর অভিযুক্ত দু’জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে বনের জমি উদ্ধার ও বন উজাড়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন বিভাগের লোকজন টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বনের মধ্যে জমি দখলে সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
তালতলীর ইউএনও উম্মে সালমা বলেন, এ বিষয়ে বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ বন ব ভ গ র কর মকর ত ঘ র কর ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে আতঙ্ক নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে কোনো আতঙ্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক। সড়কে কোনো আতঙ্ক নেই। তবে ছোটখাটো দু-একটা ঘটনা ঘটছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বরিশাল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ কিছুটা কঠিন জায়গা। তবে ওই সব জেলায় এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু করাত দিয়ে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বড় গাছ হওয়ায় সরাতে সময় লাগে। মহাসড়ক থেকে সরাতে সময় লাগছে। রায়কে ঘিরে কেউ কেউ ককটেল ফাটাচ্ছে। যারা ফাটাচ্ছে তারা ধরা পড়ছে।

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলা দরকার যে তোমরা স্কুল–কলেজে পড়াশোনা করো। এটা দেখার জন্য আমরা আছি। আমরা দেখব।’ উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকে উসকে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা সদস্য পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইল উপদেষ্টা বলেন, ‘দরকার পড়লে ভারতকে আমরা আবার চিঠি দেব।’

মানুষ, পুলিশ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী যে নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আত্মরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিজে বিপদে থাকলে গুলি পরিচালনা করার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ