আ.লীগকে এমনভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে যেন ফিরে আসতে না পারে: হাসনাত কাইয়ুম
Published: 10th, May 2025 GMT
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে এমনভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে যেন আবার ফিরে আসতে না পারে। নতুন করে যেন কেউ আওয়ামী লীগের মতো জুলুমবাজ, অর্থ পাচারকারী হয়ে উঠতে না পারে। আর সে জন্য গণহত্যা ও অর্থ পাচারের বিচার জরুরি।
শুক্রবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক মানববন্ধনে হাসনাত কাইয়ুম এসব কথা বলেন। আওয়ামীতন্ত্র নিষিদ্ধ এবং সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ মানবন্ধনের আয়োজন করে।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীনদের লুটপাট, পাচারের সব আইনি সুযোগ বন্ধ করা জরুরি। সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রকে এমনভাবে সংস্কার করতে হবে যেন পরবর্তী সময়ে কোনো সরকার বা বিচার বিভাগ তা বাতিল করতে না পারে। এ জন্য তাঁরা একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় নির্বাচনকে সবচেয়ে টেকসই উপায় বলে মনে করেন।
মানববন্ধনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, দেশি–বিদেশি চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ঢাকা জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক লিটন কবিরাজের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইমুল ইসলাম, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসিরউদ্দীন, ফরিদুল ইসলাম, সামিউল আলিম রাশু, আবদুল জলিল প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি তরুণ চিকিৎসকদের
তামাকজনিত রোগে অকাল মৃত্যুর মিছিল থামাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন দেশের তরুণ চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া তরুণ চিকিৎসকরা দাবি করেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুর্বলতা রয়েছে যা দূর করে সংশোধন করলে তামাকজনিত রোগে অকাল মৃত্যুহার ও স্বাস্থ্যঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি অনুযায়ী, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্যতম ছয়টি ধারা সংশোধনের দাবি তোলেন।
সেগুলো হলো- ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা। তামাক বিক্রয়স্থলে প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা। কোম্পানির সকল সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস থেকে কিশোর-তরুণদের রক্ষা করা। তামাক প্যাকেট ও কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার বাড়িয়ে ৯০% করা। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন ও খোলা ধোঁয়াবিহীন দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও সন্ধানী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারজানা মুন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া, শতাধিক মেডিকেল শিক্ষার্থী, তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি