তাপপ্রবাহ কমতে পারে কবে, আছে বৃষ্টির সুখবর
Published: 10th, May 2025 GMT
খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে তাপপ্রবাহ এখন সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগেও তাপপ্রবাহ আছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আগামী সোমবার ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে। ওই দিন থেকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হতে পারে।
আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এই পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, আজ সারা দেশে তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
আগামীকাল রোববার দিনে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পরের দুই দিন সোম ও মঙ্গলবারেও একই প্রবণতার কথা জানানো হয়েছে। তবে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো.
তাপপ্রবাহ কমে আসা প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী ১২ মে সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ ১৮ বা ১৯ মের মধ্যে কমে আসতে পারে। এই সময়ে কালবৈশাখীরও সম্ভাবনা রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক দিন রিকশা চালান, আরেক দিন কারুপণ্য বানান ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। পেটের তাগিদে রিকশা চালান। আর মনের খোরাক জোগাতে নান্দনিক সব কারুপণ্য বানান। বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি করেন নান্দনিক সব কারুপণ্য। শখের বশে শুরু করলেও এখন এসব বিক্রি করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, নিজের এসব কারুপণ্য বিদেশে বিক্রির।
স্ত্রী জান্নাত আক্তার, ৯ ও দুই বছর বয়সী দুই মেয়ে নিয়ে জাহাঙ্গীরের সংসার। ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর নানা পেশা পাল্টে এখন রিকশা চালান জাহাঙ্গীর। ময়মনসিংহ নগরে এক দিন পরপর রিকশা চালান। যেদিন বাড়িতে থাকেন, সেদিন কারুপণ্য তৈরি করেন।
সম্প্রতি নগরের কাছারিঘাটে চলা বাণিজ্য মেলায় ঢুকে দেখা যায়, একটি টেবিলে বাঁশ ও নারকেলের মালা দিয়ে তৈরি কারুপণ্য সাজিয়ে বসে আছেন জান্নাত আক্তার। রাস্তা দিয়ে চলা মানুষ এসে দাঁড়াচ্ছেন, আর কারুপণ্য দেখছেন। অনেকে দরদাম করছেন, কেউ কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
হৃদয় মাহমুদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নারকেলের খোসাকে আমরা আরছি বলি। এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। কিন্তু এই আরছি দিয়ে ফুল, গাছ, টব কত–কী তৈরি করা হয়েছে। সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো!’
সম্প্রতি মনতলা গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে রোদে শুকাচ্ছেন নারকেলের মালা। উঠানে নিজের তৈরি পণ্য রোদে দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করছিলেন। বাঁশের তৈরি কলমদানি, ব্রাশহোল্ডার, ফুলের টব, ওয়ালমেট, দেয়ালঘড়ি, কাপ, ল্যাম্প, চামচসহ কত–কী আছে সেখানে!
জাহাঙ্গীর আলম ২৫ থেকে ৩০ ধরনের পণ্য বানান বলে জানান