কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি বাহাদুর গ্রেপ্তার
Published: 10th, May 2025 GMT
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের আইভিপি রোডস্থ নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোহেল আহমেদ বাহাদুর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজারে দায়েরকৃত প্রায় সবগুলো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। শনিবার সোহেল আহমদ বাহাদুর তার বাসায় অবস্থান করছে- এমন খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি টিম তার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া ১১১ অস্ত্র উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় জেলার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ১১১টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি ৪০টি অস্ত্র ও প্রায় ৭ হাজার ৫১৮ রাউন্ড গুলির এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাকি অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে জেলা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) তারেক আল মেহেদী বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পুরস্কার ঘোষণাও দিয়েছি।
নির্বাচনের আগেই যেন বাকি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়, সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগসহ সবাই সচেষ্ট রয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়।
আন্দোলনকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করা কিছু দুর্বৃত্ত জেলা পুলিশ লাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আড়াইহাজার থানা, গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
সে সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন অস্ত্রাগার ভেঙে দুর্বৃত্তরা ১৫১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ৯ হাজার ২৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল সাত ধরনের বিভিন্ন বোরের অস্ত্র, চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি (সাব মেশিনগান), এলএমজি (লাইট মেশিনগান), পিস্তল, শটগান ও রাইফেলসহ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।
শুধু জেলা পুলিশ লাইন থেকেই লুট করা হয় ৭৮টি অস্ত্র ও প্রায় ৫ হাজার রাউন্ড গুলি। এসব অস্ত্রের অনেকগুলো কার্যকর অবস্থায় ছিল এবং কিছু অস্ত্র তৎকালীন সময়ে মামলা তদন্ত বা বিশেষ অভিযানে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল।