নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ৩০
Published: 10th, May 2025 GMT
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ইমো রাজ্যে বন্দুকধারীদের গুলিতে বিভিন্ন যানবাহনের অন্তত ৩০ যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। হামলাকারীরা ২০টির বেশি যানবাহন ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তারা নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিআফরার (আইপিওবি) সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, শুক্রবার এক্সে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। ইমো পুলিশের মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার কথা নিশ্চিত করলেও নিহতের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পুলিশের হাতে এক হামলাকারী মারা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে তিনটি দলে ভাগ হয়ে হামলাকারীরা মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয় ও এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়, বলা হয়েছে পুলিশের বিবৃতিতে। রয়টার্স।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুরি মেরে স্কুলছাত্র হত্যা যুবকের বাড়িতে আগুন
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর হামলাকারীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে জনতা। শুক্রবার রাতে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোহাগাছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে হামলার শিকার হয় স্কুলছাত্র জিহাদ হাসান জয়। ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আগুন দেওয়া হয় একই এলাকার মোজাম্মেল
হকের বাড়িতে।
নিহত জিহাদ হাসান জয় (১৫) ওই এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার বিকেলে জিহাদ হাসান জয় ও তার বন্ধুরা স্থানীয় সরকারবাড়ী মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলা শেষ করে তারা মাঠে বসে বিশ্রাম নেওয়ার সময় একই এলাকার মোজাম্মেল হক (৩৩) সেখানে যান। সে জয়ের বন্ধু একই এলাকার মুদি দোকানি হাবিবুর রহমানের ছেলে জুনায়েদকে হত্যার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদ করে জয়। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হলে মোজাম্মেল চলে যান। জয়ও চলে যায় বাসায়।
কয়েক ঘণ্টা পরই মোবাইল ফোনে কল করে সরকার মার্কেটে যেতে বলে। বন্ধুরা জানায়, রাত ১০টার দিকে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে সেখানে যায় জয়। এর আনুমানিক ১৫ মিনিট পর মোজাম্মেল সেখানে এসেই জয়কে গালাগালি শুরু করে। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে জয়ের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান।
এলাকাবাসীর জয়কে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১২টার দিকে মারা যায় জয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায় এলাকার লোকজন। এক পর্যায়ে তারা আগুন ধরিয়ে দিলে বাড়ির আসবাব পুড়ে যায়।
মোজাম্মেল এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত। নিহত জয়ের বাবা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘মোজাম্মেল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে সহযোগীদের নিয়ে আমার নিষ্পাপ ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। পেটে ছুরিকাঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে অণ্ডকোষেও আঘাত করেছিল তারা।’
এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে শনিবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামি তালিকায় মোজাম্মেল (৩৩), সাগর (৩০) ও আবু বকর সিদ্দিকের (৫৫) নাম আছে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, এরই মধ্যে ৩ নম্বর আসামি আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি মোজাম্মেলসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।