নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ইমো রাজ্যে বন্দুকধারীদের গুলিতে বিভিন্ন যানবাহনের অন্তত ৩০ যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। হামলাকারীরা ২০টির বেশি যানবাহন ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

তারা নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিআফরার (আইপিওবি) সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, শুক্রবার এক্সে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। ইমো পুলিশের মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার কথা নিশ্চিত করলেও নিহতের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পুলিশের হাতে এক হামলাকারী মারা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে তিনটি দলে ভাগ হয়ে হামলাকারীরা মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয় ও এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়, বলা হয়েছে পুলিশের বিবৃতিতে। রয়টার্স।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীর সংখ্যা এক বছরের ব্যবধানে ২৬% কমেছে

জাতিসংঘের সহযোগিতায় পরিচালিত পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা এক বছরের ব্যবধানে ২৬ শতাংশ কমেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই কর্মসূচির আওতায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৯ হাজার ৮৭২ জন শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। চলতি বছরের একই সময় এই সংখ্যা কমে ৭ হাজার ২৭১ জনে নেমেছে। তাঁদের প্রায় অর্ধেকই আফগান নাগরিক।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ কঠোর শরণার্থীনীতির অংশ হিসেবে শিগগিরই তিনটি নতুন ‘নিরাপদ ও বৈধ’ পথ চালু করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খুব স্বল্পসংখ্যক শরণার্থী এসব পথ দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের আবেদন করতে পারবেন। গত সেপ্টেম্বরে শরণার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।

রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেন, যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষের জন্য যুক্তরাজ্যে আসার যে কয়েকটি নিরাপদ ও বৈধ পথ ছিল, সেগুলো ঠিক এমন সময় বন্ধ করা হলো, যখন খোলা রাখা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল।

এনভার সলোমন আরও বলেন, নিরাপদ ও বৈধ পথগুলো সীমিত হয়ে আসায় শরণার্থীরা বিপজ্জনক পথে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের আনার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশুরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়ছে।

শাবানা মাহমুদ ঘোষণা করেছেন, সরকার শরণার্থীদের স্থায়ী সুরক্ষা আর দেবে না। বরং তাঁদের দাবিগুলো প্রতি ৩০ মাস পর পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সরকার সত্যিকারের শরণার্থীদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশ্রয়ব্যবস্থার সংস্কারের অংশ হিসেবে আমরা নতুন, নিরাপদ ও বৈধ পথ খুলব। এর মধ্য দিয়ে সত্যি যাঁদের সাহায্যের দরকার, তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ