বিএনপির সমাবেশে এসে যা বললেন তামিম ইকবাল
Published: 10th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তারুণ্যের সমাবেশে আজ শনিবার যোগ দিয়েছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। হঠাৎ পলোগ্রাউন্ডের মঞ্চে বিএনপি নেতাদের পাশে তামিমকে দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমাবেশে আগত লোকজন। এ সময় সভাস্থল তামিম তামিম চিৎকারে মুখর হয়ে ওঠে।
শুধু সমাবেশ মঞ্চে আসীন ছিলেন তা নয়, জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বক্তব্যও দিয়েছেন। চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবালের বক্তব্যজুড়ে ছিল স্থানীয় খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার নানামুখী পদক্ষেপের কথা।
আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।
বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে তামিম ইকবাল মঞ্চে ওঠেন। এ সময় মঞ্চে তাঁকে স্বাগত জানান মির্জা ফখরুল। পরে নেতাদের প্রথম সারিতে তামিমকে বসানো হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মাইক্রোফোনে তামিমের ডাক পড়ে।
চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমরা এমনভাবে পরিশ্রম করব যাতে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। আজ থেকে ১০-২০ বছর আগে যেভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করত চট্টগ্রাম, আমরা আবার ওই জায়গায় ফিরে যাব।’
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হওয়ার বিষয়টিও বক্তব্য উল্লেখ করেছেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের খেলাধুলা নিয়ে আমার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের নিয়মিত কথা হয়। আমরা কীভাবে চট্টগ্রামের খেলাধুলাকে আগের জায়গায় নিয়ে আসতে পারি, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।’
তামিম ইকবাল যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত, তাঁরা যখন সুযোগ পাবেন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে। সেটি যে ধরনের খেলাধুলাই হোক না কেন। ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, যেকোনো ইভেন্ট প্রোমোট করবেন।’
পরে নিজের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য শেষ করেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আজ আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে খুশি। আপনারা জানেন আমি অসুস্থ। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। বেশি কথা বলা উচিত নয়।’
হঠাৎ তামিমের বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণের পর তাঁর রাজনীতিতে জড়ানোর বিষয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাহলে কি তামিম ইকবাল বিএনপিতে যোগদান করছেন, কিংবা নির্বাচনে দাঁড়াবেন, নাকি ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব পাচ্ছেন—এসব নানা আলোচনা ডালপালা মেলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার বিভাগ কাগজে স্বাধীন, এখন বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখতে চায় মানুষ: মাহবুব উদ্দিন খোকন
বিচার বিভাগ গেজেটের মাধ্যমে কাগজে স্বাধীন হয়েছে, তবে মানুষ বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আইনের শাসন ও সব জায়গায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী এসব কথা বলেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় জনগণ একটি আমূল পরিবর্তন দেখতে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘এখন আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন হয়েছে, কাগজে–কলমে হয়েছে, বাস্তবে চাই।’
তবে এ নিয়ে জনমনে ‘কিছু ভয়ও আছে’ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বিচারপতিরা এখন ধরেন স্বাধীন। অনেকেই ধারণা করছে, ভয় পাচ্ছে— স্বেচ্ছাচারিতা যদি হয়, তাঁরা যদি প্রভাবিত হন, তাহলে কী হবে? সরকারের তো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
সচিবালয় সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আছে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘সচিবালয় কি ভালোভাবে কাজ করতে পারবে, এটা মানুষের চিন্তা। আমি বিশ্বাস করি, সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পর এটা সম্ভব হবে। এখানে দক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘আশা করি, মানুষের জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটাবে নতুন সচিবালয় এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা।’
এ সময় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়। প্রতিষ্ঠিত হলে এই সচিবালয় অধস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত সব প্রশাসনিক ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হুমায়ুন কবির মঞ্জু, সহসম্পাদক আবদুল করিম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ ফজলে এলাহী, শফিকুল ইসলাম, ফাতেমা আক্তার ও মহিউদ্দিন হানিফ উপস্থিত ছিলেন।