ই-কমার্স সাইটে কেনাবেচায় যেসব পণ্য জনপ্রিয় হয়েছে, সে তালিকায় অটোমোবাইল অন্যতম। যান্ত্রিক পরিষেবার প্রয়োজনে তাই অটোমোবাইল নিয়ে আগ্রহীরা দারুণ উৎসুক। এমন ধারণা থেকে
বিক্রয় ডটকম মোটরগাইড বাংলাদেশ নামে নতুন অটোমোটিভ পোর্টালের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন পোর্টালটি গাড়ি, বাইক ক্রেতা-বিক্রেতা ও আগ্রহীর জন্য বিশেষভাবে নির্মিত।
সারাদেশে মোটরযান বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে স্থানীয় ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের চাহিদা বাড়ছে।
এমন চাহিদা পূরণেই মোটরগাইড ডটকম সাইটের যাত্রা বলে উদ্যোক্তা জানায়।
জানা গেছে, গাড়ি, মোটরবাইক ও অটো পার্টস বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে এ সাইটে। নতুন ক্রেতা, অভিজ্ঞ গাড়ি, বাইকপ্রেমী বা মার্কেট যাচাইয়ে আগ্রহী বিক্রেতার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও নির্দেশনা। সাইটটি বিশেষ করে বাংলাদেশি মার্কেটের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেখানে থাকছে নতুন গাড়ির রিভিউ থেকে শুরু করে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ।
সাইটের অন্যতম সুবিধা সজ্জিত ফিল্টারিং পরিষেবা। গাড়ির ব্র্যান্ড, মডেল, দাম, ধরন বা ইঞ্জিন সিসি অনুসারে একাধিক ফিল্টার ব্যবহার করে পছন্দের বাইক বা গাড়ি রিভিউ খোঁজার সুযোগ থাকবে।
ফলে কমিউটার বাইক কিনতে চাইলে, এসইউভির তুলনা করতে চাইলে বা পছন্দের ব্র্যান্ডের নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজনে সহজে ও মানসম্মত কনটেন্ট সামনে দৃশ্যমান হবে।
বাড়তি সুবিধা হলো, মোটরগাইড বিক্রয় সাইটের বিস্তৃত ডেটাবেসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ফলে আগ্রহীরা এক ক্লিকেই বিক্রয়যোগ্য গাড়ি,
বাইক বা অটো পার্টসের বিষয়ে জানতে পারবেন। আগ্রহী ক্রেতারা আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বুঝতে পারবেন, বাজার চাহিদা ও ট্রেন্ড কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।
বিক্রয় ডটকমের হেড অব মার্কেটিং মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী তিনমাস দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগামী তিন মাস দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগস্ট মাসে অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা ভেতরের অবস্থা জানি। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বেড়েছে, এক্সপোর্টও বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো, অর্থনৈতিক কাঠামোটি সুসংহত করা, যাতে আগামী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এটিকে আরও উন্নত করতে পারে।’’
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নগদ পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী, গেস্ট অব অনার হিসেবে নগদ লিমিটেডের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ নগদ পরিচালনা বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব না নিত, তবে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং এটি আরও কমবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকরা ‘জনগণের কণ্ঠ’। দেশের চলমান ক্রান্তিকালে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে জনগণের পাশে থাকা সাংবাদিকদের জন্য জরুরি। যারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাদের কাজগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত মূল্যবান। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলো তুলে ধরলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ভালো কাজের দিকগুলোও তুলে ধরবেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে আরও সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে সহায়তা করবেন, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যায়।’’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।
আবু সালেহ আকন বলেন, ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ডে স্পন্সর করায় নগদকে ধন্যবাদ। আজকে যারা ডিআরইউ বেস্ট রিপোটিং এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাদের অভিনন্দন আর যারা পাননি তারা ভবিষ্যতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘‘আজকের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ডিআরইউর বার্ষিক কর্মকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পেশাদার সাংবাদিকতায় নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধকে সম্মান জানাতে ডিআরইউ প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এটি শুধু স্বীকৃতি নয়, দেশের সাংবাদিকতার গতিপথকে ইতিবাচক ও শক্তিশালী করার একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।’’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ বছর ২৪টি ক্যাটাগরিতে ২৭ জনকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পুরস্কার পেলেন যারা
মৌসুমী ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), মো. শওকত আলী (দৈনিক দেশ রূপান্তর), সালাহ উদ্দিন জসিম (জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), সাজ্জাদুর রহমান (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), রফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), এমএ নোমান (দৈনিক আমার দেশ), জিয়াদুল ইসলাম (দৈনিক আমাদের সময়), মো. শাখাওয়াত প্রিন্স (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), মো. শরিফুল ইসলাম (দ্য ডেইলি স্টার), দীপন নন্দী (দ্য ডেইলি স্টার), হারুন আর রশিদ (দৈনিক কালবেলা), মো. আবু সালেহ রনি (দৈনিক সমকাল), মো. রাহেনুর ইসলাম (সকালসন্ধ্যা ডটকম), মো. জসীম উদ্দীন (ঢাকা পোস্ট ডটকম), এহসানুল হক জসীম (দ্য ডেইলি সান), মো. হেলিমুল আলম (দ্য ডেইলি স্টার), শামসুল হক মোহাম্মদ মিরাজ (দৈনিক কালের কণ্ঠ), শাহ মো. রাশেদুর রহমান (ডিবিসি নিউজ), আবু জাহেদ মুহম্মদ সেলিম (মাছরাঙা টেলিভিশন), আলমগীর হোসেন (যমুনা টেলিভিশন), রাজিব ঘোষ (ডিবিসি নিউজ), মো. ইমদাদুল হক (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর), মো: ইউসুফ আলী (ডিবিসি নিউজ), সুশান্ত সিনহা (একাত্তর টেলিভিশন), শাহনাজ শারমীন (একাত্তর টেলিভিশন), মেহ্দী আজাদ মাসুম (বৈশাখী টেলিভিশন) এবং হাসান আরিফ (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ)।
ঢাকা/এনটি//