চামড়া সংরক্ষণে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার
Published: 21st, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পশু আনা–নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ জন্য চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানা, লিল্লাহবোর্ডিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ দেবে সরকার।
কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে আজ বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠক হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় লবণের অভাবে চামড়া নষ্ট হয়ে যায়, তাই তাড়াহুড়া করে কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করে দেয়। তাই সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করবে সরকার। সরকার এতিমের হক নিশ্চিত করতে চায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক রব ন ব ণ জ য উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্ব, হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ দিন আগে ছুরিকাঘাতে আহত এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম ওয়াহিদুল হক ওরফে সাব্বির (১৮)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে ওই কলেজছাত্রের ওপর হামলা হয়।
নিহত ওয়াহিদুল হক নগরের মুরাদপুর এলাকায় আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। নগরের হালিশহর মধ্যম রামপুর এলাকার মোহাম্মদ এসহাকের ছেলে তিনি।
ওয়াহিদুলের মামা মো. জনি প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ মে জুমার নামাজ শেষে এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যান ওয়াহিদুল হককে। সেই বন্ধু তাঁকে হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় রেখে চলে যান। সেখানে চারটি অটোরিকশায় করে এসে কিছু লোক ওয়াহিদুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। বাটাম দিয়েও পেটানো হয় তাঁকে। পূর্ববিরোধের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের একটি দল তাঁর ওপর এ হামলা চালায়।
জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালিশহর থানার উপপরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ‘পাইথন’ ও ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত মিনহাজুল (২০) নামের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে জড়িত অন্যদের নাম উঠে এসেছে। নিহত ওয়াহিদুল ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কিছুদিন আগে ওয়াহিদুল এক ছেলেকে মেরেছিলেন। এর প্রতিশোধ নিতে তাঁর ওপর পরিকল্পিতভাবে এই হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এখন যেহেতু ভুক্তভোগী মারা গেছেন তাই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। এ জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
নিহত ওয়াহিদুল মা-বাবার একমাত্র ছেলেসন্তান। তাঁর আরও দুটি বোন রয়েছে। ছেলে মারা গেছেন শুনে হাসপাতালে সন্ধ্যায় ছুটে আসেন বাবা মোহাম্মদ এসহাক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেকে নিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই।’