বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনের সঙ্গে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল কাস্টোডিয়ানগুলোর অন্যতম দ্য ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক মেলন (বিএনওয়াইএম) এবং বাংলাদেশে তাদের সাব কাস্টোডিয়ান এইচএসবিসি’র প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে উভয় পক্ষের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো.

মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএনওয়াইএমর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ কাসেম, এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব ফিন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশনস মনির উদ্দিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম নাজমুল হাসান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শাইলা আলম ত্রিশা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, বিএসইসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, মার্কেট ওভারসাইট ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে সিসিবিএলকে অপারেশনে আনা, পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি যুগোপযোগীকরণের পরিকল্পনা, টি প্লাস ওয়ান সেটেলমেন্ট চালু ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়াও, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের মাধ্যমে একে বিশ্বমানের বাজারে পরিণত করতে এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কাস্টোডিয়ানদের ভূমিকাকে আরো উন্নত করে দেশের বাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে অধিকতর আগ্রহী করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির সিদ্ধান্তহীনতায় লেনদেন বন্ধ এক ব্রোকারেজ হাউসের, বিপাকে ২২ হাজার বিনিয়োগকারী

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তহীনতায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে একটি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন। তাতে ওই ব্রোকারেজ হাউসের প্রায় ২২ হাজার বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। হঠাৎ করে ব্রোকারেজ হাউসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিলার ও লেনদেন সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২৪ নভেম্বর ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজের লেনদেন স্থগিত করে দেয়। ব্রোকারেজ হাউসটির আগের নাম ছিল আনোয়ার খান মর্ডাণ সিকিউরিটিজ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটি মালিকানা বদল হয়। প্রতিষ্ঠানটির সব দায়দেনা ও সম্পদ কিনে নেয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ। মালিকানা বদলের পর ডিএসইতে ব্রোকারেজ হাউসটির নাম বদলে হয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ। মালিকানা বদলের পরপর নতুন প্রতিষ্ঠানটি নাম বদল ও লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করে ডিএসইতে। ডিএসইর পক্ষ থেকে সেই আবেদন অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে পাঠানো হয়।

কিন্তু বিএসইসিতে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকায় এরই মধ্যে লাইসেন্সটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। তাতে হঠাৎ করেই ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করে দেওয়া হয়। তাতে বিপাকে পড়েছেন এই ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেনকারী ২২ হাজার বিনিয়োগকারী। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম বদলের ছাড়পত্রের বিষয়ে বিএসইসির কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ডিএসইও এটির লেনদেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সব ধরনের কাগজপত্র বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় ফিও প্রতিষ্ঠানটি পরিশোধ করেছে। আর কোনো কাগজপত্রের দরকার আছে কি না, সে বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এদিকে লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় লেনদেন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কাছে কোনো উপায়ও নেই। আবার কবে লেনদেন চালু করা যাবে, তা বিএসইসির সিদ্ধান্ত না পেলে আমরাও বলতে পারছি না। এমন এক পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তিতে পড়লেও আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স বা সনদ নির্ধারিত সময় পরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে নবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বদল বা নাম বদল হলেও সেটি বিএসইসিকে অবগত করতে হয়। সেই সঙ্গে নতুন নামে ব্রোকারেজ হাউসটি লাইসেন্স স্থানান্তরের আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। সেটি পালন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন ভোগান্তিতে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্‌করণ সংক্রান্ত ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী এখন কোনো ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনস্বত্ব বিক্রির সুযোগ নেই। তবু মালিকানা বদলের পাশাপাশি কেউ কেউ সেটি করছেন। তবে কী কারণে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির সনদ নবায়ন আটকে আছে, সেটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা না বলে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’

ডিএসই–সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনস্বত্ব বিক্রির ক্ষেত্রে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন বিধিনিষেধ থাকলেও কেউ যদি প্রতিষ্ঠানের সব দায়দেনা ও সম্পদ কিনে নেয়, সে ক্ষেত্রে আইনে কোনো বাধা নেই। আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজের মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে সব দায়দেনা ও সম্পদ একসঙ্গে বিক্রি হয়েছে। এ কারণে এখানে আইনগত কোনো বিধিনিষেধ নেই। তাই আমরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এটির নাম বদল ও লেনদেনের অনুমোদন দিয়েছি। এখন বিএসইসির নবায়ন সনদ আটকে যাওয়ায় লেনদেন স্থগিত করতে হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির সিদ্ধান্তহীনতায় লেনদেন বন্ধ এক ব্রোকারেজ হাউসের, বিপাকে ২২ হাজার বিনিয়োগকারী